জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ, এন্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)-এর সহযোগিতায় মহারাষ্ট্রের পাঁচটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে এতদিন বসবাস করছিলেন বাংলাদেশিরা৷ যা খবর তাতে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: ৭১-এর যুদ্ধে ভারত না কি শুধুমাত্র সহযোগী ছিল, এবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা বাংলাদেশের!
এমনিতেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধুর সম্পর্ক আপাতত অতীত৷ দুই দেশের সম্পর্ক এখন কার্যত তলানীতে ঠেকেছে৷ তার মধ্যে এমন দিনের পর দিন অনুপ্রবেশ৷ জানা গিয়েছে, এক বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে, মহারাষ্ট্র এটিএস ও স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে গত চার দিনে মুম্বই, নাসিক, নান্দেড় এবং ছত্রপতি শম্ভাজিনগর থেকে নয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে৷ এমনটাই জানিয়েছেন এক মুম্বই পুলিশের এক কর্তা।
advertisement
অভিযুক্তদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং একজন মহিলা রয়েছেন। তারা ভুয়ো নথি ব্যবহার করে আধার কার্ড তৈরি করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনি ধারার অধীনে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ক্রিকেট খেলতে খেলতেই মাঠে লুটিয়ে পড়লেন যুবক! নিমেষে সব শেষ…
এই অভিযানের অধীনে এটিএস গত মাসে ১৯টি মামলায় ৪৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান তিনি। অন্য একটি অভিযানে, থানে জেলার নরপোলি থানার পুলিশ মঙ্গলবার প্রেরণা কমপ্লেক্সের মানকোলি এলাকায় একটি গুদামে হানা দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিককে কর্মরত অবস্থায় পায়।
২৬ থেকে ৫৪ বছর বয়সী অভিযুক্তরা ভারতে থাকার জন্য কোনও বৈধ নথি প্রদর্শন করতে পারেনি বলে নরপোলি থানার এক কর্মকর্তা জানান। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৩৫,০০০ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।
তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন, পাসপোর্ট আইন এবং পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইনের ধারার অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।