যাকে ঘিরে এত কান্ড, সেই জমি বিবাদ ৭০ বছরের পুরনো। বাবরি মসজিদ ছিল ০.৩১৩ একর জমিতে৷ ১৯৪৯-এর ২২শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে মসজিদের প্রধান গম্বুজের নিচে রামলালার মূর্তি বসানো হয়৷ দাবি, ওখানেই রামের জন্ম হয়েছিল৷ ১৯৯১-এ কল্যাণ সিং সরকার বিতর্কিত এলাকা ঘিরে মোট ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে৷ লক্ষ্য পূণ্যার্থীদের সুবিধাদান ও পর্যটনের উন্নয়ন৷ ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়৷ ১৯৯৩-এ উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই কেন্দ্রের নরসিমা রাও সরকার ওই ২.৭৭ একর জমিকে ঘিরে মোট ৬৭.৭০৩ একর অধিগ্রহণ করে৷ আশেপাশের এলাকা ছিল মূলত হিন্দুদের৷ ন্যাসের কাছে ছিল ৪২ একর৷ প্রথমে অর্ডিন্যান্স জারি হয়ে পরে সংসদে আইন পাস হয়৷ ১৯৯৪-এ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা৷ সুপ্রিম কোর্টে রায়, বাবরি মসজিদের ০.৩১৩ একর জমির অধিকার দাবি মুসলিমদের৷ মামলায় জিতে মুসলিমদের অধিকার কায়েম করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য আশেপাশের জমি সরকারের হাতে থাকে৷ ২০০৩-এ ঘেরা জমিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শিলা পুজোর প্রস্তুতি নিলে মামলা হয়৷ উচ্চ আদালতে রায় ঘেরা জমিতে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে না৷
advertisement
আপাতত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ঐতিহাসিক রায়ে এই বিতর্কের নিষ্পত্তি হল৷ শর্তসাপেক্ষে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরা ৷শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছে, ওই জমি রামলালারই ৷ একইসঙ্গে কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে ওই জমিতে মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত৷ট্রাস্টের নজরদারিতেই তৈরি হবে রামমন্দির ৷ তবে ট্রাস্টে রাখতে হবে নিমোর্হী আখড়ার প্রতিনিধিদের৷