সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিট্টুর দ্বিতীয় শাগরেদ পালিয়ে গিয়েছে। আপাতত এসটিএফ এবং পুলিশ যৌথ ভাবে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। উত্তরাখণ্ড ডিজিপি অভিনব কুমার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, বাবা তারসেম সিংয়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টাকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখেছে রাজ্য পুলিশ। ফলে এসটিএফ এবং পুলিশ ক্রমাগত হত্যাকারীদের পাকড়াও করার জন্য তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উত্তরাখণ্ডে যদি তারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে, তাহলে পুলিশ সেই অপরাধীদের কঠোর ভাবে দমন করবে। পুলিশ জানিয়েছে যে, অমরজিৎ সিং ওরফে বিট্টুর বিরুদ্ধে ১৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
advertisement
গত ২৮ মার্চ নিজের ডেরাতেই খুন হন নানকমাট্টা গুরুদ্বারের করসেবা প্রধান বাবা তারসেম সিং। বাইকে চেপে এসে দুই আততায়ী বাবা তারসেম সিংকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাতিমার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই বাবা তারসেম সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে, মোটরসাইকেলে চেপে দুই দুর্বৃত্ত ডেরার খোলা ফটক দিয়ে প্রবেশ করে। সেখানেই চেয়ারে বসেছিলেন বাবা তারসেম সিং। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই জঘন্য অপরাধের দিন দুয়েক পরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।
এফআইআর-এ দুই আততায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হল সরবজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং। এর পাশাপাশি এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে আইএএস অফিসার হরবনস সিং চুঘের নামও। এই আইএএস অফিসার আবার নানকমাট্টা গুরুদ্বার প্রাবন্ধক কমিটির প্রধান। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বাবা অনুপ সিং এবং প্রীতম সিং সান্ধুর বিরুদ্ধেও।