TRENDING:

#AyodhyaVerdict: বিতর্কিত জমি রামলালারই, বিকল্প জমি মুসলিমদের, ৩ মাসের মধ্যে তৈরি করতে হবে মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট

Last Updated:

ঐক্যমতের ভিত্তিতে শিয়া সংগঠনের আবেদন খারিজ ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: অবশেষে দীর্ঘ আইনি যুদ্ধ শেষে রায় ঘোষণা অযোধ্যা মামলার। পাঁচ বিচারপতির সর্বসম্মতিতে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা ৷ ঐক্যমতের ভিত্তিতে শিয়া সংগঠনের আবেদন খারিজ ৷ আদালতে ধাক্কা খেল নির্মোহী আখড়ার দাবিও ৷ খারিজ নির্মোহী আখড়ার দাবিও ৷ খারিজ নির্মোহী আখড়ার দাবিও ৷ নিমোর্হী আখড়া সেবায়েত নয় বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত ৷একইসঙ্গে রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি সুপ্রিম কোর্টের ৷
advertisement

শর্তসাপেক্ষে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরা ৷শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছে, ওই জমি রামলালারই ৷ একইসঙ্গে কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে ওই জমিতে  মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত৷ট্রাস্টের নজরদারিতেই তৈরি হবে রামমন্দির ৷ তবে ট্রাস্টে রাখতে হবে নিমোর্হী আখড়ার প্রতিনিধিদের ৷

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অযোধ্যা মামলায় শীর্ষ আদালতে রায় পড়ে শোনালেও সঙ্গে রয়েছেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির  ৷রায়ের শুরুতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে৷ সংবিধান সব ধর্মকে সমান অধিকার দিয়েছে৷ তাই মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি অযোধ্যাতেই দেওয়া হবে ৷উল্লেখ্য, এই বিকল্প জমির পরিমাণ বর্তমান বিতর্কিত জমির দ্বিগুণ ৷

advertisement

ASI এর রিপোর্টকে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতিরা রায়ে জানিয়েছেন, ‘ মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ফাঁকা জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়নি ৷ ওর নীচে পুরনো অনেক বড় কোনও নির্মাণ বা কাঠামো রয়েছে ৷ তবে সেখানে কোনও মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় ৷তবে খননকার্যের রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে ওই ধ্বংস হওয়া কাঠামো কোনও ইসলামিক স্থাপত্য নয়৷ ’

advertisement

‘বিতর্কিত এলাকায় প্রার্থনা করতেন মুসলিমরা ৷ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারি না ৷ জমির মালিকানা প্রমাণ করতে পারেননি মুসলিমরা ৷ বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে না আইন ৷’ জানাল সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ৷

‘ওই জায়গায় জন্মেছিলেন রাম,এটা হিন্দুদের বিশ্বাস ৷ বিভিন্ন বইয়ে তার উল্লেখ আছে ৷ সেই বিশ্বাসও এভাবে মেনে নেওয়া যায় না ৷ তবে সেই দাবির বিরোধিতাও কেউ করেনি ৷ ব্রিটিশরা আসার আগেও অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যে হিন্দুরা পুজো করত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।’ জানাল সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ৷

advertisement

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে চলা জমি মামলা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রায় দিতে গিয়ে কোনও জটিলতার রাস্তায় যাননি বিচারপতিরা। পাঁচ বিচারপতি একমত হয়েই রায় দিয়েছেন। স্পষ্ট করেছেন , ধর্ম বা বিশ্বাস নয়, আইনি অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের মূল অংশ পড়ে শোনান প্রধান বিচারপতি। বিতর্কিত জমিতেই ধর্মাচরণের অধিকার চেয়েছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও রামলাল বিরাজমান। তবে ওয়াকফ বোর্ড আবেদনে জানায়, মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস জড়িত বলেই জমির অধিকার তাদের দেওয়া হোক। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে জমির মালিকানা দেওয়া যায় না। আইনি অধিকারের ভিত্তিতেই ওই জমি রামলালার বলে মেনে নিচ্ছে শীর্ষ আদালত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

২০১০ সালে বিতর্কিত জমিকে তিনভাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই রায়ের সমালোচনা করলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোধ্যা মামলা নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিখুঁত ছিল। হাইকোর্টের রায়ের ওপর ভিত্তি করেই এগিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
#AyodhyaVerdict: বিতর্কিত জমি রামলালারই, বিকল্প জমি মুসলিমদের, ৩ মাসের মধ্যে তৈরি করতে হবে মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট