বিদেশি নানা সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদন। কাগজের মণ্ডকে কাজে লাগিয়ে ভাস্কর্য-সহ নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বিশ্বমানের সেই শিল্পী এখন বাধ্য হয়ে অটো রিকশ চালাচ্ছেন।
খাওয়ার খান আচাকজাই নামে এক ট্যুইটারেত্তি নতুন করে আবিষ্কার করেছেন তাঁকে। যানজটে আটকে পড়ে তিনি অটো রিকশ ভাড়া করেন। এবং তার পরই আবিষ্কার করেন চালকের আসনে বসে আছেন শিল্পী সৈয়দ আইজাজ। কথায় কথায় তিনি জানান কেন এই দুরবস্থার শিকার তিনি। এর জন্য নিয়তিকেই দুষেছেন সৈয়দ। তাঁর আশঙ্কা, কাগজের মণ্ড শিল্প বা পাপিয়ে মাশে খুব বেশি হলে আর ৫ থেকে ১০ বছর স্থায়ী হবে। আর্থিক সঙ্কটের জন্যই সকলে এই পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে তাঁর আক্ষেপ। ভাগ্যের পরিহাসে তাঁর ক্ষেত্রে পুরস্কারে তুলনায় বেশি কার্যকর অটো রিকশর চাকা।
advertisement
কিন্তু এত প্রতিকূলতার পরও শিল্পের প্রতি মায়া ছাড়তে পারেননি শিল্পী। প্রতিদিন অটো চালিয়ে ফেরার পর শিল্পের সঙ্গে সময়যাপন করেন সৈয়দ আইজাজ। সকাল সন্ধ্যা অন্তত কিছুটা সময় তিনি অপূ্র্ণ স্বপ্নগুলিকে ছুঁতে চান কাগজের মণ্ডের মাধ্যমে।