জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজস্থানের হনুমানগড়ে একটি মদের দোকান নিলামে উঠেছিল। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় নিলাম। বেলা যত বাড়তে থাকে, পরিস্থিতি তত-ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কে ওই মদের দোকানটি কিনবেন, তা নিয়ে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় নিলামে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে। সারা দিন গড়িয়ে যায়, কিন্তু নিলাম ডাকা আর শেষ হয় না। শেষ পর্যন্ত নিলাম সমাপ্ত হয় মধ্যরাতে।
advertisement
এর মাঝে কী ঘটে চলেছিল, তা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। নিলামে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জেদ বাড়তে থাকে টাকার অঙ্কের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে। শেষ পর্যন্ত দাম এসে ঠেকে ৫১০ কোটি টাকায়। জানা গিয়েছে এর পরে আর যে কোনও কারণেই হোক, কেউ অতিরিক্ত দাম ঘোষণা করার সাহস দেখাননি। ফলে এই বিপুল দামেই শেষ পর্যন্ত হনুমানগড়ের এই মদের দোকানটির মালিকানা হস্তান্তরিত করা হয়।
আবগারি দফতরের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর এক লটারি নিলামে এই মদের দোকানটি বিক্রি করা হয়েছিল ৬৫ লক্ষ টাকায়। চলতি বছরে নিলাম ডাকার সময়ে এর বেস প্রাইস অর্থাৎ নিলাম শুরুর সময়ে হাঁকা দাম ধার্য করা হয়েছিল ৭২ লক্ষ টাকা। সেটা যে শেষ পর্যন্ত ৫১০ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে, তা অনুমান করে উঠতে পারেননি আবগারি দফতরের কর্তাব্যক্তিরাও! ফলে, তাঁরা বিস্ময়ে থ' হয়ে গিয়েছেন! জানা গিয়েছে, যাঁরা এই দোকানটি কিনেছেন এই বিপুল অঙ্কের টাকা ফেলে, সেই দুই মহিলা একই পরিবারের অন্তর্গত। দুই বোনের মধ্যে একজনের নাম কিরণ কানওয়ার (Kiran Kanwar), অন্যজনের নাম এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
সূত্রের খবর, রাজস্থানে এখনও পর্যন্ত ৭০০০টি মদের দোকান নিলামে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।