TRENDING:

৮০ বছর বয়সে সংস্কৃতে PhD করলেন উজ্জয়িনীর শশীকলা রাওয়াল!

Last Updated:

শরীর ও মুখে বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে তিনি আজও সমান পিপাসু। আর সেই জ্ঞানপিপাসু মানসিকতাই আজ তাঁকে সাফল্যের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#উজ্জয়িনী: কথায় বলে জানার কোনও শেষ নেই আর বয়সও নেই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইচ্ছে নামের জিনিসটি সঙ্গ দেয় না। অনেকে আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু জেনে যাওয়ার গর্বে জানার ইচ্ছেশক্তিটাও হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু উজ্জয়িনীর বাসিন্দা শশীকলা রাওয়ালের (Sasikala Rawal) শিক্ষাগ্রহণের যাত্রা একটু অন্যরকম। বয়স ৮০ বছর। শরীর ও মুখে বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে তিনি আজও সমান পিপাসু। আর সেই জ্ঞানপিপাসু মানসিকতাই আজ তাঁকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। ৮০ বছর বয়সেই সংস্কৃতে PhD করলেন এই বৃদ্ধা।
advertisement

প্রথম জীবনে লেকচারার হিসেবে কাজ করতেন। অবসর নেওয়ার পর জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু। ২০০৯-১১ সালের মধ্যে অ্যাস্ট্রোলজি বিষয়ে MA পাশ করেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। বরাহমিহিরের বৃহৎ সংহিতা নিয়ে PhD শুরু করেন। শেষমেশ ২০১৯ সালে নিজের PhD ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন শশীকলা দেবী।

সোশাল লাইফ অ্যাজ সিন থ্রু দা মিরর অফ বৃহৎ সংহিতা (Social Life As Seen Through The Mirror Of Brihat Samhita) বিষয়ে PhD ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছেন শশীকলা দেবী। এক্ষেত্রে তাঁর গাইড ছিলেন মহর্ষি পাণিণি ইউনিভার্সিটি (Maharishi Panini University) প্রাক্তন উপাচার্য মিথিলা প্রসাদ ত্রিপাঠী (Mithila Prasad Tripathi)। ৮০ বছর বয়সে শশীকলা দেবীর এই ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টি গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলেছে। তাঁর এই উদ্যম ও প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। এমনকি তাঁকে PhD সম্মান প্রদান করার সময় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পাটেল (Anandiben Patel)। শশীকলা দেবীর হার না মানার মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন থালায় সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১১ লক্ষ টাকা! ছেলের বিয়ের পণের টাকায় যা করেলন বাবা...

এই বয়সে সবাই নিজেদের মতো করে অবসর কাটান। বাকি কয়েকটা বছর বিশ্রাম নিয়ে আরামে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু শশীকলা দেবী এমন ঝুঁকি কেন নিলেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বরাবরই জ্যোতিষশাস্ত্র তথা অ্যাস্ট্রোলজিতে আগ্রহ ছিল। বিষয়টিকে গভীরে জানার একটা দারুণ কৌতূহল ছিল। সেই কৌতূহলস্পৃহা থেকেই বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vikram University) অ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হন। কিন্তু মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ে মন ভরেনি তাঁর। ইচ্ছে হয়, আরও পড়াশোনা করার। এর পর শুরু হয় বরাহমিহিরের বৃহৎ সংহিতা নিয়ে পড়াশোনা। আর সেখান থেকেই গবেষণা করার ইচ্ছে জন্মায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তিনি আরও জানান, আসলে জ্যোতিষশাস্ত্র পড়ার পর থেকে চিন্তা-ভাবনাই বদলে যায়। জীবনে এই বিষয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। জীবনের যাত্রায় সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যেতে এই শাস্ত্রের ভূমিকা অপরিসীম। যদি কেউ গভীরে জ্যোতিষশাস্ত্রকে জানতে পারেন, তাহলে জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। তাঁর কথায়, PhD পাওয়ার পর সত্যি ভালো লাগছে। এই কয়েক বছরে যা শিখেছি, তা জনমানসের কল্যাণে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
৮০ বছর বয়সে সংস্কৃতে PhD করলেন উজ্জয়িনীর শশীকলা রাওয়াল!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল