নিম গাছের তলায় মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ে, শাড়ি, গয়না পরিয়ে সাজানো হয়েছে করোনা মাতাকে। করোনা মাতার মূর্তিতে একটি মাস্কও পরানো হয়েছে। হাতে লাল চুড়ি, চোলি। নিম গাছের তলায় এই মূর্তি বসিয়ে লেখা হয়েছে বিশ্বের একমাত্র করোনা মাতার মন্দির। তবে এখানেই শেষ নয় প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই মন্দির তলায়। ধুপ, মিষ্টি, ফুল দিয়ে চলছে করোনা মায়ের পুজো। দেশের মানুষকে করোনা মুক্ত করতেই এই গ্রামের মানুষরা ভরসা রেখেছেন করোনা মায়ের উপর। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এমন এক সুন্দর দেবী রূপ হতে পারে, তা এখানকার মানুষ প্রথম কল্পনা করেছেন।
advertisement
পুজো হয়ে গেলে সকলকে প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে। শান্তির জল ছিঁটানো হচ্ছে। কিন্তু পুজোতে ঠিক কি মন্ত্র পাঠ হচ্ছে তা জানা নেই। ভাইরাস যদি ভগবান হয়ে যেতে পারে, তবে মন্ত্রও নিশ্চয় এতক্ষণে আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সত্যিই বিচিত্র এ দেশ।
এই দেশেই দেখা যায়, করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র পানের ঘটা। আবার গোবর মেখে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে মানুষকে। অক্সিজেন দেওয়ার বদলে রোগীকে গোমূত্র খাওয়াতেও দেখা গিয়েছে। সে দেশে করোনা ভাইরাস যে দেবী রূপ পেতে পারে , তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই কঠিন সময়েও মানুষ কুসংস্কারকে অন্ধের মতো ভরসা করতে চাইছে। তবে এই করোনা মাতার সৃষ্টিকর্তা কিন্তু মানুষই। দূর ভবিষ্যতে যখন করোনা থেকে মুক্ত হবে পৃথিবী, সে সময়েও হয়ত থেকে যাবে করোনার দেবী করোনা মাতা। হতে পারে তখনও ঘটা করে পুজো হবে করোনা দেবীর। ভয় থেকে মানুষ এমন কত দেবতারই জন্ম দিয়েছে। আবার নিজেই নিয়ম বানিয়ে, আজীবন আরাধনা করে চলেছে। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনা মাতার পুজো সত্যিই অবাক করেছে। নেট মাধ্যমে বহু মানুষ এই পুজো দেখে অবাক হয়েছেন।