হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন কমিশন শ্যাম সরণকে তাদের SVEEP বা সিস্টেম্যাটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেকট্ররাল পার্টিসিপেশন ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মনোনীত করেছেন ৷ ওই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক গোপাল চাঁদ IANS-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে সকলকে অংশগ্রহণ করার এবং নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য আবেদন জানাবেন দেশের প্রবীণতম ভোটার শ্যাম সরণ নেগি ৷
advertisement
শিমলা থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে কিন্নুর জেলার কলপা গ্রামে ছোট ছেলে চান্দের প্রকাশ নেগির কাছে থাকেন শ্যাম সরণ ৷ ২০১৪ সালে স্ত্রীকে হারিয়েছেন শ্যামবাবু ৷ ১ জুলাই ১০৩ বছরে পা দেবেন শ্যাম সরণ ৷ আজকাল কানে একটু কম শোনেন ঠিকই ৷ তবু রেডিও শুনতে বড় ভালবাসেন ৷ তিন ছেলে আর পাঁচ মেয়ে ছিল শ্যাম সরণের ৷ ২০০২ সালে বড় ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি ৷ এখন বাকি ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতি নিয়ে ভরা সংসার ১০২ বছরের ভোটারের ৷ ১৯৭৫ সালে সরকারি স্কুল থেকে অবসর নেন শ্যাম ৷ শিক্ষকতা করতেন তিনি ৷
স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি ৷ সে সময় কিন্নুর জেলার নামকরণ হয়নি ৷ সবাই ওই এলাকাকে চিনা অধ্যুষিত এলাকা বলেই চিনত ৷ ১৯৫১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচন বাদ পড়েনি শ্যাম সরণের ৷
কলপা গ্রামটি মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় পড়ে ৷ কুলু, মান্ডি এবং শিমলা ও চাম্বার কিছু অংশ এর মধ্যে পড়ে ৷ প্রতি বছর এই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিতে যান শ্যাম সরণ ৷ ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশনের ৬০ বছর পূর্তিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা এসেছিলেন শ্যামবাবুর গ্রামে ৷ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন থেকে আজ পর্যন্ত এর অংশ হওয়ায় তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয় ৷ শুধু তাই নয়, নেগির বহু ভিডিও প্রকাশ করেছে কমিশন ৷ প্রচারের উদ্দেশ্যে এগুলি ব্যবহার করা হয় ৷