আগে কংগ্রেসেই ছিলেন হিমন্ত। তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে বিরোধিতার জেরে ২০১৪ সালে কংগ্রেস ছাড়েন হিমন্ত। ২০১৫ সালে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। তাঁর প্রচার এবং রণকৌশল দেখে North-East Democratic Alliance(NEDA)-র আহ্বায়ক হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করে বিজেপি। গত বছর তাঁকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
সেখানের বিজেপি নেতাদের দাবি, নিজের কাজ দিয়েই দলের সম্পদ এবং ভরসা হয়ে উঠেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর উপরে এখন রাজ্যের লোকজনই শুধুমাত্র নন, ভরসা রাখছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ অন্যরাও। প্রসঙ্গত, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পিএ সাংমার দল এনপিপি বিজেপির নেতৃত্বাধীন উত্তর-পূর্ব ভারতের দলগুলির জোট ‘নেডা’র সদস্য। এই নেডার তত্ত্বাবধান করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
advertisement
বিরোধীদের অভিযোগ, কার্যত তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই চলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। অসম বিধানসভা ভোটের সময় সিএএ-এনআরসি বিরোধী হাওয়া এবং কংগ্রেসের সঙ্গে বদরুদ্দিন আজমলের হাত মেলানো সত্ত্বেও অসমে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। কিন্তু এই জয়ের পরই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছিল স্নায়ুর লড়াই৷ বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন ওঠে, সর্বানন্দ সোনওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে দেওয়া হবে, নাকি নতুন মুখ্যমন্ত্রী করা হবে 'ক্রাইসিস ম্যানেজার' হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে।
সেই নিয়ে অসম বিজেপির মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একদিকে যেখানে হিমন্তকে বিজেপি উত্তর-পূর্ব ভারতের 'চাণক্য' বলা হয়। উত্তর-পূর্বের যে কোনও রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক সংকট তিনিই সামাল দেন। তাই তাঁকেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জোরালো হয়েছিল। তাঁর পক্ষে দলীয় বিধায়কদের সমর্থনও ছিল প্রবল।
আরও পড়ুন, নতুন বছরেও খুলল না কপাল, ফের জেল হেফাজতেই অনুব্রত মণ্ডল
আরও পড়ুন, ভয়াবহ ঘটনা এনজেপি স্টেশনে! মৃত এক সেনা, আহত আরও ৪ জওয়ান! কী ঘটল এমন?
হিমন্ত বিশ্বশর্মা যদিও দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে জানিয়ে ছিলেন, ''আমার উপর আপনি বিশ্বাস রাখুন। আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে অসম এবং উত্তর-পূর্বকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রকার চেষ্টা ছাড়ব না।"