এবারের বাজেটে বাংলায় মেট্রো প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ আগের বারের তুলনায় কমেছে৷ এর পরই বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ এ দিন রাজ্যের শাসক দলের তোলা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রী৷
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, নতুন ট্রেন চালানো, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছেন৷ বাংলার রেল প্রকল্পের জন্য বাজেটে ১৩৯৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন এই অঙ্ক তার তুলনায় তিনগুন৷ বাংলায় রেলের ৬৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আপনি জমি অধিগ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রেলকে সাহায্য করুন, যাতে বাংলার মানুষ এই প্রকল্পগুলির সুবিধে পান৷ রেল প্রকল্পে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জমি অধিগ্রহণ৷’
advertisement
রীতিমতো তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে এ দিন বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী৷ তিনি দাবি করেন, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার মেট্রো রেলপথ তৈরি হয়েছিল বাংলায়৷ সেখানে ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আরও ৩১ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথ চালু করা হয়েছে৷
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় ১০১টি স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে৷ বাংলায় ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে৷ যে সংখ্যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য৷ এ ছাড়াও একটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনও পেয়েছে বাংলা৷’
যদিও রেলমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উনি অফিসার ছিলেন৷ তখন উনি বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রেলমন্ত্রী হয় না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যা বরাদ্দ করেছিলেন, তার বিচার তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী করতে হবে৷ সমস্যা হল, অশ্বিনী বৈষ্ণব আমলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়ে এসেছেন৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করা মানুষ৷ উনি সবসময় ক্রিম খেয়েছেন, মমতা পুলিশের গুলি খেয়েছেন৷ এটাই পার্থক্য৷’