গুরমিত রাম রহিমের ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা ৷ জোড়া ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত স্ব-ঘোষিত এই ধর্ম গুরুর সাজা ঘোষণার পরেই উদ্দেশ্য প্রোণোদিতভাবে তাণ্ডব চলেছিল একাধিক রাজ্যে ৷ এই ঘটনায় প্রাণ যায় ৩৬ জনের ৷ নষ্ট হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ৷ এতাই এ বার আরও এক স্ব-ঘোষিত ধর্মগুরু আসারামের বেলায় এই ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন ৷
advertisement
কার্যত লোহার দুর্গে পরিণত হয়েছে উত্তর ভারতের চার রাজ্য ৷ নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে যোধপুর ৷ এখানেই আজ রায় দেবে আদালত ৷ এ ছাড়াও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ও হরিয়ানায় ৷ এ সব রাজ্যে আসারামের ভক্ত সংখ্যা বিপুল ৷
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ নয়: হাইকোর্ট
অভিযোগ, ২০১৩ সালে মানাই গ্রামে নিজের আশ্রমে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসারাম ৷ এরপর আসারাম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে দুই বোন ৷ ধর্ষণের মামলা শুরু হয় আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে ৷ গ্রেফতার হন তিনি ৷ জেলে থাকাকালীন ১২ বার জামিনের আবেদন করেছেন ৷ কিন্তু প্রত্যেকবারেই আদালতে খারিজ হয়ে যায় তা ৷ গুরমিতের মতো হাইকোর্টের নির্দেশে আসারামে বিচারসভাও বসবে যোধপুর জেলের মধ্যে ৷
আরও পড়ুন:রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি কংগ্রেসের
৭৭ বছরের আসারাম দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সর্বনিম্ন ১০ বছরের এবং সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে ৷