TRENDING:

ঘরে মেয়ে পাঠাও, টর্চের আলোয় সঙ্কেত পাঠাতেন আসারাম

Last Updated:

ব্রহ্মজ্ঞানীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনে পাপ হয় না, এমনটাই মনে করতেন আসারাম বাপু ৷ সে কথা বলেওছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্য রাহুল কে সচরকে ৷ পরে রাহুলই বাপুর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#যোধপুর: ব্রহ্মজ্ঞানীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনে পাপ হয় না, এমনটাই মনে করতেন আসারাম বাপু ৷ সে কথা বলেওছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্য রাহুল কে সচরকে ৷ পরে রাহুলই বাপুর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ৷
advertisement

১৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে যোধপুর আদালত ৷ এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য ছিল রাহুল সচর ৷ তিনি জানান, যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে নিয়ম করে ওষুধ খেতেন স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ ৷ প্রতিদিন মাদকও সেবন করতেন ৷ আশ্রমে মাদকের সাঙ্কেতিক নাম ছিল ‘পাঞ্চড বুটি’ ৷

আরও পড়ুন: আসারাম বাপুর সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও

advertisement

আশ্রমের মধ্যে নিজের ঘর বা ‘কুটিয়া’য় থাকতেন আসারাম ৷ সব সময় তাঁর পাশে থাকতেন তিন সঙ্গিনী ৷ দিনেরবেলা আশ্রমের মধ্যে এই সঙ্গিনীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন বাপু ৷ পছন্দের মেয়েকে নির্বাচন করে নিতেন তখনই ৷ এরপর রাতের বেলা কুটিয়া থেকে টর্চের আলোয় সঙ্কেত পাাঠাতেন ওই তিন সঙ্গিনীর কাছে ৷ পূর্ব-নির্বাচিত সেই মেয়েকে সেই সময় আসারামের কাছে পাঠিয়ে দিত তাঁরাই ৷

advertisement

একদিন আসারামকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন রাহুল ৷ ধর্মগুরুকে এই রূপে মেনে নিতে পারেননি তিনি ৷ চিঠি লেখেন আসারামকে ৷ কেন তিনি মেয়েদের সঙ্গে এই কাজ করছেন, তা জানতে চান চিঠিতে ৷ কিন্তু চিঠির কোনও উত্তর পাননি ৷ আরও একটি চিঠি লেখেন কিছুদিন পর ৷ তবু কোনও উত্তর না আসায় বাপুকে একদিন সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন সচর ৷ সেই সময় আসারাম তাঁকে জানান, ব্রহ্মজ্ঞানী মানুষদের কোনও পাপ হয় না ৷ এরপরেই তাঁকে রক্ষী দিয়ে বের করে দেওয়া হয় আশ্রম থেকে ৷

advertisement

আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসারামের

আদালতের কাছে রাহুল জানান, আশ্রমে অনেক ধরণের বেআইনি কাজ চলত ৷ এমনকী যাঁরা গর্ভবতী হয়ে যেতেন, তাঁদের গর্ভপাতের ব্যবস্থাও করতেন আসারামের তিন সঙ্গিনী ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় একাধিকবার আসারামের শিষ্যদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে রাহুলকে ৷ তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ঘরে মেয়ে পাঠাও, টর্চের আলোয় সঙ্কেত পাঠাতেন আসারাম