সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আলোচনা ছিল “ফলপ্রসূ”। অনেক বিষয়েই সমঝোতা হয়েছে, খুব অল্প কিছু বাকি রয়েছে— যা ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের দিকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
advertisement
‘হয়তো আমাকে আর…’ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পর ভারত নিয়ে নরম হলেন ট্রাম্প? মুকুব হতে পারে ৫০% শুল্ক?
এর মধ্যেই ফক্স নিউজ জানায়, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প পুতিনের উদ্দেশে একটি “শান্তির চিঠি” লিখেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “সময় এসেছে” বিশ্বজুড়ে শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দেওয়ার।
চিঠির শুরুতে তিনি শৈশবকে কেন্দ্র করে এক সার্বজনীন বার্তা দেন—
“প্রিয় প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে একটাই স্বপ্ন থাকে— সে গ্রামীণ কোনও সাধারণ পরিবারে জন্মাক বা শহরের কেন্দ্রস্থলে বিলাসী জীবনে। তারা স্বপ্ন দেখে ভালবাসার, সম্ভাবনার, আর বিপদ থেকে নিরাপত্তার।”
মেলানিয়া জোর দিয়ে লেখেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা যেমন অভিভাবকের দায়িত্ব, তেমনই তা বিশ্বনেতাদের কর্তব্য।
“অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আগামী প্রজন্মের আশা লালন করা। নেতৃস্থানীয় হিসেবে শিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব কেবল কিছু মানুষের আরামের সীমার মধ্যে আটকে থাকতে পারে না।”
চিঠিতে তিনি আহ্বান জানান মর্যাদা ও শান্তিতে ভরা এক পৃথিবী গড়ার—
“অস্বীকার করা যায় না, আমাদের চেষ্টা করতে হবে এমন এক মর্যাদাময় পৃথিবী রচনায় যেখানে প্রতিটি মানুষ শান্তি নিয়ে ঘুম থেকে জাগতে পারে, আর ভবিষ্যৎ নিজেই নিরাপদে রক্ষা পায়।”
শেষে তিনি মনে করিয়ে দেন, শৈশবের নিষ্পাপতা রাজনীতি ও ভূগোলের ঊর্ধ্বে—
“একটি সহজ অথচ গভীর সত্য, মি. পুতিন— প্রতিটি প্রজন্মের উত্তরসূরিরা জীবনের শুরু করে এক অমলিন নিষ্পাপতা নিয়ে। এই নিষ্পাপতা ভূগোল, সরকার বা মতাদর্শের ঊর্ধ্বে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই চিঠিটি হাতে তুলে দেন ভ্লাদিমির পুতিনকে, আলাস্কা বৈঠকের সূচনার আগে।