TRENDING:

'আমার বাবা বলতেন ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, সেই ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে গেল!' নিঠারি কাণ্ডে সুরিন্দর ছাড়া পেতেই আফসোস ফাঁসুড়ে পবনের

Last Updated:

নিঠারি মামলায় সুরিন্দর কোলিকে ১৩টি মামলা থেকেই বেকসুর মামলা থেকে খালাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই রায় শোনার পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, নিঠারি হত্যাকাণ্ড প্রবলভাবে প্রভাব ফেলেছিল পবনের বাবার মনে। এই হত্যাকাণ্ডের যুক্ত দুইজন মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর সিং দুইজনকেই নিজের হাতে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: নিঠারি মামলায় সুরিন্দর কোলিকে ১৩টি মামলা থেকেই বেকসুর মামলা থেকে খালাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই রায় শোনার পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, নিঠারি হত্যাকাণ্ড প্রবলভাবে প্রভাব ফেলেছিল পবনের বাবার মনে। এই হত্যাকাণ্ডের যুক্ত দুইজন মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর সিং দুইজনকেই নিজের হাতে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
সুরিন্দর কোলি ছাড়া পাওয়ায় আফসোস পবনের
সুরিন্দর কোলি ছাড়া পাওয়ায় আফসোস পবনের
advertisement

এই প্রসঙ্গে পবন বলেন, “আমার বাবার মনে নিঠারি হত্যাকাণ্ড প্রবলভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি সবসময় বলতেন খুনিদের আমার হাতে ফাঁসি দেওয়ার পরেই শান্তি মিলবে। কিন্তু, এই ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে গেল।”

উল্লেখ্য, পবন জল্লাদ ২০১২ সালে নির্ভয়া গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে চার মূল অভিযুক্তকেও ২০২০ দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেন তিনি।

জল্লাদ পরিবারের ক্ষেত্রে চার প্রজন্ম ধরে সরকারি ফাঁসুড়ে হিসাবে কাজ করছেন তাঁরা। নিঠারি হত্যাকাণ্ড তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধু বিচার নয়, তাঁদের কাছে এটা ছিল কর্তব্যের থেকেও বড়।

advertisement

প্রসঙ্গত, দিল্লির নয়ডার একের পর এক শিশু নিখোঁজের অভিযোগ সামনে আসার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরেই নয়ডার এলাকা থেকে বেশ কিছু কঙ্কাল, এবং দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, শিশুদের যৌন নির্যাতন, হত্যা এবং তাঁদের মাংস খেয়েছেন ব্যবসায়ী মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর কোলি। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেখান থেকেই সুরিন্দর কোলিকে ১৩টি মামলা থেকেই বেকসুর খালাস করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

advertisement

২০২৩ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে ব্যবসায়ী মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর কোলিকে অপর্যাপ্ত তথ্যপ্রমানের ফলে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।

নিঠারি গ্রামের কাছেই নয়ডার সেক্টর ৩১-এর এই ঘটনা জনগণের মনে শিহরণ জাগিয়েছিল। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ফাঁসুড়ে পবনের মনে আফসোস জাগিয়েছে।

বছর ৪৫-এর পবন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বাবা শেষ জীবন এই কেসের প্রতিটি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেন। তিনি বলতেন এই ধরনের মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তাঁদের ফাঁসিই একমাত্র পথ।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সেনাবাহিনীর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট সু-গাড়ি! মালদহের পড়ুয়াদের তাক লাগানো আবিষ্কার
আরও দেখুন

কিন্তু, পবনের বাবা মাম্মু জল্লাদ ২০১১ সালে মারা যান। এরপর থেকে তাঁর পুত্র পবন ২০১৩ থেকে উত্তরপ্রদেশের জেলে ২০১৩ থেকে ফাঁসুড়ে হিসাবে রয়েছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
'আমার বাবা বলতেন ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, সেই ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে গেল!' নিঠারি কাণ্ডে সুরিন্দর ছাড়া পেতেই আফসোস ফাঁসুড়ে পবনের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল