এই প্রসঙ্গে পবন বলেন, “আমার বাবার মনে নিঠারি হত্যাকাণ্ড প্রবলভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি সবসময় বলতেন খুনিদের আমার হাতে ফাঁসি দেওয়ার পরেই শান্তি মিলবে। কিন্তু, এই ইচ্ছা অপূর্ণই রয়ে গেল।”
উল্লেখ্য, পবন জল্লাদ ২০১২ সালে নির্ভয়া গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে চার মূল অভিযুক্তকেও ২০২০ দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেন তিনি।
জল্লাদ পরিবারের ক্ষেত্রে চার প্রজন্ম ধরে সরকারি ফাঁসুড়ে হিসাবে কাজ করছেন তাঁরা। নিঠারি হত্যাকাণ্ড তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধু বিচার নয়, তাঁদের কাছে এটা ছিল কর্তব্যের থেকেও বড়।
advertisement
প্রসঙ্গত, দিল্লির নয়ডার একের পর এক শিশু নিখোঁজের অভিযোগ সামনে আসার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরেই নয়ডার এলাকা থেকে বেশ কিছু কঙ্কাল, এবং দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, শিশুদের যৌন নির্যাতন, হত্যা এবং তাঁদের মাংস খেয়েছেন ব্যবসায়ী মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর কোলি। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেখান থেকেই সুরিন্দর কোলিকে ১৩টি মামলা থেকেই বেকসুর খালাস করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
২০২৩ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে ব্যবসায়ী মনিন্দর সিং পান্ধের এবং সুরিন্দর কোলিকে অপর্যাপ্ত তথ্যপ্রমানের ফলে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।
নিঠারি গ্রামের কাছেই নয়ডার সেক্টর ৩১-এর এই ঘটনা জনগণের মনে শিহরণ জাগিয়েছিল। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ফাঁসুড়ে পবনের মনে আফসোস জাগিয়েছে।
বছর ৪৫-এর পবন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বাবা শেষ জীবন এই কেসের প্রতিটি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেন। তিনি বলতেন এই ধরনের মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তাঁদের ফাঁসিই একমাত্র পথ।”
কিন্তু, পবনের বাবা মাম্মু জল্লাদ ২০১১ সালে মারা যান। এরপর থেকে তাঁর পুত্র পবন ২০১৩ থেকে উত্তরপ্রদেশের জেলে ২০১৩ থেকে ফাঁসুড়ে হিসাবে রয়েছেন।
