শুক্রবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক ও ভোটাভুটি। ভোট মানেই সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভায় সেই সংখ্যা কিন্তু এখনও বিজেপির হাতেই বেশি।
বিজেপির সাংসদ সংখ্যা এখন ম্যাজিক ফিগার ২৭২-এর থেকে এক বেশি অর্থাৎ ২৭৩। এর পাশাপাশি জোটসঙ্গী হিসেবে রয়েছে শিরোমণি অকালি দল, যাদের লোকসভায় সাংসদ চার জন ৷ লোক জনশক্তি পার্টির ৬জন ৷ শিবসেনার ১৮ জন। সমস্ত সংশয় শেষে উদ্ধব ঠাকরে গতকালই জানিয়েছেন তারা বিজেপিকেই সমর্থন করবেন ৷ এ ছাড়াও এনডিএতে আরও বেশ কয়েকটি ছোট দল রয়েছে। যাদের মিলিত সাংসদ সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় ৩১৪ ৷
advertisement
আরও পড়ুন
ডিএ মামলায় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে উঠে এল আরও আইনি যুক্তি
ইউপিএর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসের লোকসভায় সাংসদ ৪৮ জন ৷ ইউপিএতে থাকা আরজেডির সাংসদ চার জন, এনসিপির সাত ৷ অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি দল মিলিয়ে লোকসভায় এখন ইউপিএর শক্তি ৬৬ ৷
এনডিএ-ইউপিএ'র বাইরে থাকা দলের মধ্যে তৃণমূলের লোকসভায় সাংসদ ৩৪ ৷ বামেদের ১১, টিডিপির ১৬, টিআরএসের ১১ ৷
এই সব দলের সব সাংসদই যদি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় সেক্ষেত্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট পড়তে পারে ইউপিএর ৬৬ ও এই দলগুলির ৭৭। সব মিলিয়ে ১৪৩। সেটাও এনডিএর ৩১৪'র থেকে অনেকটা কম। এর উপর এআইএডিএমকের ৩৭ জন সাংসদ যদি মোদি সরকারের পাশে দাঁড়ায়, তা হলে তো তাদের শক্তি আরও বাড়বে। অর্থাৎ, অঙ্কের হিসেবে লোকসভায় এখন এনডিএ ৩১৪। এর সঙ্গে এআইএডিএমকে ৩৭ যোগ করলে দাঁড়ায় ৩৫১।
আরও পড়ুন
উচ্চমাধ্যমিকে নম্বর বাড়ল হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর, মূল্যায়নে ভুল করা শিক্ষকদের তলব সংসদের
অন্যদিকে, লোকসভায় এখন ইউপিএর শক্তি ৬৬ তৃণমূল, বাম, টিআরএস, টিডিপির মতো দলগুলির সমর্থন পেলে সেটা হবে ১৪৩ ৷ এর বাইরে রয়েছে বিজেডি। লোকসভায় যাদের কুড়ি জন সাংসদ। তারা শুক্রবারের আস্থা ভোটে কী অবস্থান নেয় সেটাও দেখার। গেরুয়া শিবিরের কেউ মোদি সরকারের বিপক্ষ ভোট দেয় কি না তা নিয়েও রয়েছে কৌতূহল।