তবে সূত্রের খবর, অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ ইডি-র সামনে হাজির হবেন না। বরং ইডির নোটিশকে বেআইনি বলে দাবি করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে আপ আশঙ্কা, হাজিরার দিনই গ্রেফতার করা হতে পারে আম আদমি পার্টি প্রধানকে।
এদিকে সকাল সকাল ED-র অ্যাকশন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানীতে। কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়ি সহ ১০ টি জায়গায় আজ সকালেই অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। আম আদমি পার্টির বিধায়ক ও দিল্লি সরকারের মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে এদিন খুব ভোরে হানা দেয় ইডি। জানা যাচ্ছে আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে ইডি রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রাজকুমার আনন্দের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১০টি জায়গায় সকাল থেকেই ইডির অভিযান চলছে।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লি মন্ত্রী অতিসি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আগামী ২ নভেম্বর ED গ্রেফতার করবে। তাঁর হাজিরার পরই তাঁকে সম্ভব গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।’ কেন এমন আশঙ্কা করছেন অতিসি? দিল্লির মন্ত্রীর কথায়, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই ED-র হাতে তাঁকে গ্রেফতার করানো হতে পারে।’ একই আশঙ্কা আমি আদমি পার্টির একাংশের।
উল্লেখ্য, এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI। এই মামলায় বেআইনি লেনদেন নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর। এদিকে, সোমবার আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ED-র সমন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।