কোন পরিস্থিতিতে ও কেন অরুণাচলে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল জেপি রাজখোয়া? কেন্দ্রের কাছে পাঠানো রিপোর্টে কি জানিয়েছিলেন তিনি? প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ১৫ মিনিটের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় রাজ্যপাল জেপি রাজখোয়াকে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানতে চায়, ১৭৪(১)ধারা লঙ্ঘিত হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার পথে কেন হাঁটল না কেন্দ্র? অরুণাচল সংকট নিয়ে কেন সুপ্রিম কোর্টকে অন্ধকারে রাখা হল? বিকল্প ব্যবস্থা্ নিয়ে কী আইনমন্ত্রকের পরামর্শ চেয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা? যদি তাই চাওয়া হয়, তাহলে কেন তা চাওয়া হয়নি? সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় কংগ্রেসের আইনজীবী ফলি নরিম্যান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে অজুহাত করে অরুণাচলে সংবিধানকে হত্যা করার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারার কথা তুলেই তাঁর সওয়াল, রাষ্ট্রপতি শাসন গণতন্ত্রে একেবারে শেষ বিকল্প। অরুণাচলে প্রথমেই তা করতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সহমত হয়েছেন বিচারপতিরাও। আমরা জরুরি অবস্থার দিনগুলো ভুলে যাইনি। তা ফেরানোর চেষ্টা হলে আদালতই তা রুখবে। অরুণাচলে রাষ্ট্রপতি শাসনের বিকল্প ছিল কিনা তার জবাব কেন্দ্রকে দিতে হবে। এনিয়ে যে সব প্রশ্ন উঠে আসছে তারও জবাব আমরা আশা করছি। শুক্রবার কেন্দ্রের জবাবদিহি জমা পড়লে আগামী সোমবার ফের মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
advertisement
রাষ্ট্রপতি শাসন জারির নিয়ে বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে কংগ্রেস ৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার ৷ শাসকদল কংগ্রেসের বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহে বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস। সেখানেই অরুণাচল সংকটের সূত্রপাত। সংকটের মুখে রাজ্যপাল জেপি রাজখোয়ার আর্জি মেনেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে নবাম টুকি বলেন, ‘রাজ্যবাসীরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে বেশ হতাশ ৷ আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব ৷ ’