বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে শরীরে গেঁথে যেতে পারে এই স্টিলের বুলেট। এমনকী বুলেটপ্রুফ গাড়িও ভেদ করে দিতে পারে। সাজ্জাদ আফগানির কাছ থেকে ৩৬টি স্টিলের বুলেট উদ্ধার হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চিনে তৈরি এই বুলেট জঙ্গিদের হাতে আসে কোথা থেকে! এই প্রশ্নের উত্তর নিরাপত্তাবাহিনীর কাছেও নেই। মূলত একে সিরিজের রাইফেলে এই বুলেট ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সেনা জওয়ানরা যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করেন সেগুলি এই বুলেট রুখে দিতে পারবে না। তাই আপাতত দক্ষিণ কাশ্মীরে ডিউটিতে থাকা জওয়ানদের সুরক্ষা আরও এক স্তর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাহিনীর আধিকারিকরা। এমনকী প্রতি চেক পোস্ট, ছাউনিকে সতর্ক থাকার জন্যও উপরতলা থেকে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথমবার জঙ্গিরা এই বুলেট ব্যবহার করেছিল। সেবার পুলওয়ামার এক সেনা ছাউনিতে এই বুলেট নিয়ে হামলা করেছিল জঙ্গিরা। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকা সত্ত্বেও পাঁচজন জওয়ান জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়ে যান। এর পর ২০১৯ সালেও জঙ্গিরা এই বুলেট নিয়ে হামলা করেছিল।
advertisement
সোমবার সকালে শোপিয়ার মণিহাল এলাকায় তিন জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। পুলিসের তরফে জনানো হয়েছে, তিনজনই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ওই এলাকায় আরও দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে আন্দাজ করছে যৌথ বাহিনী। সার্চ অপারেশন চলছে। গত সপ্তাহে লস্কর কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি মারা যাওয়ার পর বদলা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে জঙ্গিরা। সজাগ রয়েছে বাহিনীও। দক্ষিণ কাশ্মীরে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।