অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে৷ যার ফলে পাট চাষিরা তো বটেই, চটকলগুলিও সমস্যায় পড়েছে৷ বাজারে যেখানে এক কুইন্টাল পাটের দাম সাড়ে ন' হাজার টাকা, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ঊর্ধ্বসীমা সাড়ে ছ' হাজার টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অর্জুনের৷ যার প্রভাব পড়ছে চটকল শ্রমিকদের উপরেও৷ বিষয়টি নিয়ে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলেরও শরণাপন্ন হন ব্যারাকপুরের সাংসদ৷ পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহারের আর্জি জানান তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে শত্রুঘ্ন সিনহা! প্রথম বৈঠকেই বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত?
অর্জুন সিং-এর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন হয়ে গেলেও তাঁর আর্জিতে কোনও আমলই দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী৷ এমন কি, জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফেও কোনও সদর্থক জবাব মেলেনি৷ আর তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং৷ সরাসরি পীযুষ গলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷
অর্জুন সিং-এর কথায়, 'আমি পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগছি৷ কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি যেখানে বলেছেন কৃষিজ পণ্যের কোনও ঊর্ধ্বসীমা েবঁধে দেওয়া যায় না, সেখানে পাটের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এতে আখেরে কৃষকের কোনও লাভ হচ্ছে না৷ আমরা মানুষের ভোটে জিতেছি৷ আর উনি আকাশপুত্র, হেলিকপ্টার থেকে নেমে সবকিছু পেয়ে গিয়েছেন৷ কৃষক, শ্রমিকের যন্ত্রণা উনি কী বুঝবেন?'
এর পরেই বিজেপি নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে অর্জুন বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ ওনার রাজ্যেই সবথেকে বেশি চটকল শ্রমিক রয়েছে আর পাট চাষ হয়৷ উনি যদি এই বিষয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে আন্দোলনে নামতে বলেন, কোনও বৈঠক ডাকেন, তাহলে আমার কাছে রাজনীতি পিছনের সারিতে চলে যাবে৷ আমি ওনাকে সমর্থন করব৷ আমি তো নিজেই ওনাকে এ বিষয়ে আন্দোলনে নামার জন্য আহ্বান করছি৷' কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বাংলার বঞ্চনা হিসেবেও অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ৷
যদিও অর্জুনের এই বক্তব্যের মধ্যে বিদ্রোহের সুর খুঁজে পাচ্ছেন না বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তাঁর ব্যাখ্যা, 'একজন সাংসদ হিসেবে তাঁর এলাকার লোকের দায়িত্ব মন্ত্রিসভার কাছে তুলে ধরা৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনও করতে পারেন৷ যদিও এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কথা হয়েছে৷ খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷'
প্রসঙ্গত, অর্জুন সিং-এর সাংসদ এলাকা ব্যারাকপুরে বহু চটকল রয়েছে৷ সাংসদের দাবি, কেন্দ্রের এই নীতির ফলে ইতিমধ্যেই তিন থেকে চারটি চটকল বন্ধ হয়েছে৷ আরও কয়েকটি বন্ধের মুখে৷