১৯৪০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্ম হয় আরতি সাহার। খুব ছোটবেলাতেই হুগলি নদীতে সাঁতার শেখা শুরু। সেই সময় বিখ্যাত সাঁতারু শচীন নাগের নজরে আসেন তিনি। তার পর থেকে আরতির জীবন যেন অন্য দিকে মোড় নেয়। প্রথম প্রথম গঙ্গায় বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন তিনি। পরে সাঁতারু মিহির সেন ও ব্রজেন দাসকে দেখে ইংলিশ চ্যানেল পার করার অনুপ্রেরণা পান। এই ব্রজেন দাসই ১৯৫৮ সালে বাটলিন ইন্টারন্যাশনাল ক্রস চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পার করেছিলেন।
advertisement
১৯৫২ সালে সামার অলিম্পিকসে ডলি নাজিরের সঙ্গে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন আরতি। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সি মহিলা প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ৩ মিনিট ৪০.৮ সেকেন্ডে ২০০ মিটার অতিক্রম করেন আরতি। যদিও অলিম্পিক থেকে ফেরার পর ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে তাঁর বোন ভারতী সাহার কাছে হেরে যান আরতি। এর পর থেকে শুধুমাত্র ব্রেস্ট স্ট্রোক বিভাগেই মনোযোগ দেন তিনি।
এক বার দেশবন্ধু পার্কের পুকুরে টানা আট ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলেন আরতি। এমনকি এক সময় এক সঙ্গে টানা ১৬ ঘণ্টা সাঁতার কাটার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন তিনি। ৬ বছরের প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৫৯ সালের ২৪ জুলাই ইংলন্ডে পাড়ি দেন এই সাঁতারু। তার পর একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৬০ সালে পদ্মশ্রী পান আরতি। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম পদ্মশ্রী প্রাপক মহিলা ছিলেন তিনি।
১৯৯৪ সালের ৪ আগস্ট। জন্ডিস ও এনসেফালাইটিস নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ১৯ দিনের লড়াই শেষে ২৩ অগস্ট মৃত্যু হয় তাঁর।
আজ তাঁর জন্মদিনে গুগল ডুডলে আর একবার ফিরে দেখা এই বাঙালি তথা ভারতীয় সাঁতারুকে।
Written By: Sovan Chanda
