২০২০ সালের আইপিএস অফিসার রাজস্থানের অজমেঢ় শহরের মেয়ে৷ তাঁর বাবা ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী৷ জয়পুরের ইন্দো ভারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ থেকে৷ শামিল হন বিএসএমএস কোর্সে৷
বারাণসীর যুবক বৈভব মিশ্রর সঙ্গে অনুকৃতির আলাপ ছাত্রাবস্থাতেই৷ ধীরে ধীরে তাঁদের বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে৷ টেক্সাসের হিউস্টনের রাইস ইউনির্ভাসিটিতে ২০১২ সালে পিএইচডি করার সুযোগ পান বৈভব ও অনুকৃতি৷ ২০১৩ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন বৈভব ও অনুকৃতি৷ তার পর তাঁদের উচ্চশিক্ষার পর্ব আমেরিকায়৷
advertisement
পিএইচডি করার সময় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা থেকে চাকরির সুযোগ পান অনুকৃতি৷ আগ্নেয়গিরি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি৷ সে সময় দু’জনেই প্রতি মাসে বেতন পেতেন ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ টাকা৷ কিন্তু সেই লোভনীয় চাকরি ছেড়ে তাঁরা ফিরে আসেন দেশে৷ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট এবং জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ বা জেআরএফ-এর মেধাতালিকায় বৈভব ছিলেন শীর্ষে৷ অনুকৃতি পান ২৩ তম স্থান৷
কিন্তু এত সাফল্যেও থামতে চাননি এই কৃতী দম্পতি৷ দু’জনেই ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন৷ ২০১৫ সালে প্রথম বার অনুকৃতি এবং তাঁর স্বামী প্রথম বার এই পরীক্ষায় বসেন৷ প্রথম প্রচেষ্টায় অনুকৃতি সফল হন প্রিলিমসে৷ তার পর ব্যর্থ হন৷ এর পর সব ধাপ পেরিয়ে তৃতীয় বারের প্রচেষ্টায় তিনি একাধিক প্রতিযোগিতামূলক স্তর পেরিয়ে পৌঁছন ইন্টারভিউ পর্যন্ত৷ কিন্তু তার পরও মনোনীত হননি৷
২০১৮ সালে চতুর্থ প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের মেধাতালিকায়৷ কিন্তু তাঁর পাখির চোখ তখন আইপিএস৷ ২০২০ সালে ইউপিএসসি-তে পঞ্চম প্রচেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করেন অনুকৃতি৷ আইপিএস ট্রেনি হয়ে যোগ দেন লখনউয়ে৷ বর্তমানে তিনি আইপিএস হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ হয়ে কর্মরত বনুলন্দশহরে৷ অনুকৃতির জীবনসঙ্গী বৈভব দিল্লিতে কর্মরত দিল্লিতে৷ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক হিসেবে৷