অতএব বাবার মতো বিখ্যাত তিহাড় জেলেই আপাতত ঠাঁই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার। এরপরে ১২ মে আবার তাঁকে দিল্লির আদালতে পেশ করা হবে। রবিবার জেল হেফাজতের খবর শুনে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন সুকন্যা। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
advertisement
একই জেলে থাকায় এখন বাবা-মেয়ের দেখা করা কি সহজ হবে? উঠেছে এই প্রশ্ন। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। তিহাড় জেলের একই ব্লকে থাকলেও তাঁদের মধ্যে নিয়মিত দেখা হওয়া সম্ভব নয়। দেখা করতে হলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।
জেল সূত্রে খবর, সাধারণত দেখাসাক্ষাতের অনুমতি মিললে এমন হাইপ্রোফাইল মামলায় নিরাপত্তার কথা ভেবে সাক্ষাতের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অনেকটা কঠোর। ফলে বন্দিদশায় বাবা-মেয়ের দেখা হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই। একই জেলে থাকলেও সম্ভবত দেখা হবে না অনুব্রত-সুকন্যার।
আরও পড়ুন: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তো মামলা থেকে সরলেন..., কী বলবেন?' শুনে যা 'করে' বসলেন কুন্তল!
আর্থিক তছরূপে অভিযুক্তদের সকলকেই রাখা হয়েছে তিহাড় জেলের একটি ব্লকে। বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ এই ঘটনায় অভিযুক্ত সকলেই রয়েছেন ৭ নং ব্লকে। গরু পাচার মামলায় ইডি বা সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সায়গল হোসেন, মণীশ কোঠারি, এনামুল হক, দিল্লির অর্থ তছরূপের মামলায় গ্রেফতার হওয়া মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা রয়েছেন একই জায়গায়। মনে করা হচ্ছিল, সুকন্যাকেও একই জায়গায় রাখা হবে এবং বাবার সঙ্গে দেখা হবে তাঁর।
কিন্তু তিহাড় জেল সূত্রে খবর, এভাবে দেখা হওয়া সম্ভব নয়। সুকন্যাকে রাখা হয়েছে মহিলাদের ওয়ার্ডে। তা পুরুষ ওয়ার্ডের চেয়ে অনেকটাই দূরে। বিশাল তিহাড় জেলের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের দূরত্ব অনেক। ফলে দেখা করতে হলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে সুকন্যা কিংবা অনুব্রতকে। অনুমোদন মিললে তবেই বাবা-মেয়ের দেখাসাক্ষাৎ হবে। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে এখনও আবেদন করেননি। অন্যদিকে সুকন্যাও এখনও পর্যন্ত সেই আবেদন জানাননি। বরং তিনি জেলবন্দি দশায় কিছু বই সঙ্গে রাখতে চেয়েছেন। কথা বলতে চেয়েছেন বান্ধবী সুতপা পালের সঙ্গে।