হায়দরাবাদের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি হাসপাতালের তরফে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা ৪০ জনের শরীরে আরটি-পিসিআর টেস্টেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। এর আগে মাত্র দিল্লি ও হরিয়ানাতে ১২ ঘন্টায় দুজন করোনা রোগী সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত হয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল কোভিড চিকিৎসায় যে গেমচেঞ্জার হতে পারে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। জীবনের ঝুঁকি আছে এমন করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেই মূলত এই অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবডি ককটেলের পর স্টেরয়েড দেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। এ ছাড়া মিউকরমাইকোসিস এর মতো মারাত্মক পোস্ট কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।
advertisement
যদিও এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডঃ নাগেশ্বর রেড্ডি এ বিষয়ে বলেন, 'আমেরিকা গবেষণা করে দেখেছে, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু ভারতে খোঁজ মেলা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এই ককটেল কার্যকরী কিনা, তা আমরাই পরীক্ষা করে দেখছি। তাতে সাফল্যও পাচ্ছি। আগামী সপ্তাহে ফের এই ৪০ জন রোগীর পরীক্ষা করা হবে। তবে, বলে রাখা যায়, প্রায় ১০০ শতাংশ কেসেই আরটি-পিসিআর টেস্টে আর করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনা।'
কী এই অ্যান্টিবডি ককটেল? আসলে তা হল, দুটি অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণ। এই দুটি অ্যান্টিবডি হল কাসিরিভিম্যাভ ও আইডেভিম্যাব। চিকিৎসকরা ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে এই ককটেল ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা এই মলিকিউল রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, করোনা লড়াইয়ে আগামী দিনে খুব বড় ভূমিকা নিতে পারে এই অ্যান্টিবডি ককটেল। এই ককটেলের দাম প্রায় ৭০ হাজার টাকা হলেও বহু রোগীই বর্তমানে স্বেচ্ছায় এই ওষুধ নিতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।