ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ, পণের দাবিতে ওই মহিলার উপর প্রতিনিয়ত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত তাঁর স্বামী। গত ১৯ জুলাই সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতার মায়ের অভিযোগ, তাঁর কন্যার নাম অতুল্য। ২০১৪ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তবে অতুল্যর স্বামীর দাবি ছিল, সে সময় তাঁদের যে পণ দেওয়া হয়েছিল, সেটা পর্যাপ্ত ছিল না। সেই কারণেই অতুল্যর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হত।
advertisement
এদিকে এই মামলার এক এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে, সতীশ নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহের সময় অতুল্যকে একটি টু-হুইলার এবং সোনা পণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। মৃতার মা নিজের অভিযোগে আরও জানান যে, অতুল্যের গলা টিপে ধরা হয়েছিল। এরপর পেটেও লাথি মারা হয়েছিল। এখানেই থামেনি অত্যাচার। একটি প্লেট দিয়ে সজোরে ওই মহিলার মাথাতেও আঘাত করা হয়েছিল। যার জেরে ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মাঝে মৃত্যু হয় অতুল্যর।
স্বামী-স্ত্রী আদতে ছিলেন কোল্লামেরই বাসিন্দা। মৃতার স্বামী সতীশের বিরুদ্ধে পণ বিরোধী আইন ১৯৬১-র আওতায় ৮৫, ১১৫ (২), ১১৮ (১) ধারা এবং ৪,৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে নিজের বয়ানে অতুল্যর বাবা রাজশেখরন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, অতুল্য কখনওই আত্মহত্যা করতে পারেন না। সেই সঙ্গে কন্যার মৃত্যুকে স্বাভাবিক চোখে দেখছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মৃতার বাবার কথায়, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমি বিশ্বাসই করি না। অতুল্যর খুবই কাছের মানুষ ওর মেয়েটা। আর অতুল্যর মৃত্যুটাও বেশ রহস্যজনক।’ রাজশেখরনের আরও অভিযোগ, ‘অতুল্যর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে, সেটা আমাদের খুঁজে বার করতে হবে। ওঁর স্বামী একটা মদ্যপ। সব সময় হিংসাত্মক হয়ে উঠত ও। আর নিজের মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে প্রতিনিয়ত মদ্যপ স্বামীর সমস্ত অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছে আমার মেয়েটা। এর আগেও অবশ্য সমস্যা হয়েছে। পুলিশে মামলাও দায়ের করা রয়েছে। আমরা শুধু জানতে চাই, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল।’
এদিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে দুবাইয়ে। সূত্রের খবর, কেরলেরই এক মহিলা দুবাইয়ের শারজাহতে নিজের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নোটটি উদ্ধার করা হয়েছে। ভিপানচিকা নামে বছর বত্রিশের ওই মহিলা দাবি করেছেন যে, পণের দাবিতে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে।