বর্ষবরণের রাতে এই দুর্ঘটনার পর প্রথমে মনে করা হয়েছিল, অঞ্জলি সিং একাই স্কুটিতে ছিলেন। কিন্তু পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, স্কুটিতে অঞ্জলির সঙ্গে আরও এক তরুণী ছিলেন। পরে জানা যায়, তিনি অঞ্জলি সিং-এরই বান্ধবী।
আরও পড়ুন: খুলি ফাটা, নেই ঘিলু, শিরদাঁড়াও ভাঙা! এতটাই নৃশংস ছিল দিল্লির অঞ্জলির মৃত্য়ু
advertisement
ওই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বেশি সময় লাগেনি পুলিশের। দুর্ঘটনার পর অঞ্জলি গাড়ির নীচে ঢুকে গেলেও অল্প বিস্তর আঘাতেই রক্ষা পান ওই তরুণী। ঘটনার পর ভয় পেয়ে গিয়েই তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাত্র কুড়ি বছরেই কাঁধে ৫ জনের সংসারের ভার, মদ্য়পদের গাড়ির চাকায় শেষ হল অঞ্জলির স্বপ্ন
ঘটনার প্রত্য়ক্ষদর্শীদের কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, গাড়ির ভিতরে জোরে গান বাজানোর কারণেই গাড়ির নীচে কেউ আটকে আছেন তা সম্ভবত বুঝতে পারেননি অভিযুক্ত যুবকরা। অঞ্জলির ওই বান্ধবী অবশ্য় সেই দাবি মানছেন না। সাংবাদিকদের সামনে তাঁর দাবি, 'ওরা সব জেনেবুঝে এই অপরাধ করেছে। অঞ্জলি সমানে চিৎকার করছিল। তা সত্ত্বেও ওরা গাড়ি থামায়নি। ভয় পেয়ে আমি কাউকে কিছু না জানিয়েই ওখান থেকে চলে আসি। অঞ্জলি গাড়ির নীচে থাকা অবস্থাতেই ওরা প্রথমে গাড়িটিকে দু'বার এগোতে এবং পিছোতে থাকে। এর পর গাড়িটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। যার ফলে অঞ্জলি গাড়ির নীচে আরও জড়িয়ে যায়।'
পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য় জানানো হয়েছে, অঞ্জলির এই বান্ধবীর বক্তব্য়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, স্কুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর গাড়িটির বাঁদিকের চাকার সঙ্গে আটকে যান অঞ্জলি। গাড়ির নীচে রক্তের দাগও মিলেছে। অঞ্জলির ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তাঁর শরীরে অন্তত চল্লিশটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মৃত তরুণীর মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল, ঘিলুও পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।