অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবি তো দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। সরকারের কাছে আবেদন করব, যাতে গ্রেটার কোচবিহার পৃথক রাজ্যের জন্য যা প্রয়োজন, সেটা যেন করা হয়। অতি সত্ত্বর গ্রেটার কোচবিহার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলব। এলাকার মানুষের বহুদিন ধরেই এই দাবি রয়েছে।’
তাঁর দাবি, শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ নয়, অসম, বিহারের কিছু অংশেও একই দাবি উঠেছে। বাংলাভাগের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শাসক দলের কথার কোনও দাম নেই। বাংলা ভাগ করতে চাইছে বলে যে কথা ওদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেটা তো নয়। কোচবিহার নামে একটি রাজ্য গঠনের দাবি রয়েছে। ১৯৪৭ -এর ১৮ জুলাই ব্রিটিশ সংসদে ইন্ডিয়া ইনডিপেনডেন্ট অ্যাক্ট বিল পাস হয়। সেখানে বলা হয়েছে, কোচবিহারের মহারাজার থেকে যে সমস্ত এলাকা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কোচবিহারের মহরাজাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’ তাঁর দাবি, তখন থেকেই গ্রেটার কোচবিহার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেই গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের কথাই আমি বলছি। সেটাই সরকারকে করতে হবে।’
advertisement
এই প্রথম বার নয়, এর আগেও একাধিকবার পৃথক রাজ্যের দাবি তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এ দিন অনন্ত মহারাজের সঙ্গে শপথ গ্রহণ করলেন তৃণমূলের ৫ সাংসদ, ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, প্রকাশ চিক বারাইক এবং সামিরুল ইসলাম। প্রত্যেকেই বাঙালি সাজে শপথ গ্রহণ করেন।
শপথ গ্রহণ করেই বঙ্গভঙ্গের দাবি উস্কে দেওয়ার সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক এবং জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা পড়া আবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, গুজরাতে সৌরাষ্ট্র, অসমে বোরোল্যান্ড এবং কারবি অংলং, উত্তরপ্রদেশে বুন্দেলখণ্ড এবং পশ্চিমাঞ্চল বা হরিৎপ্রদেশ সহ মোট ২০ টি রাজ্যের প্রস্তাব রয়েছে। কেন কেন্দ্রীয় সরকার শুধু বাংলাকে ভাগ করতে উদ্যোগী? কার্জনের প্রেত এবং পৈশাচিক বিজেপি বাংলার পবিত্র মাটিতে ফের পরাজিত হবে। দিল্লির শাহেনশাহদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত লক্ষাদিক ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গীনি, প্রীতিলতা, মাস্টারদা।’