একজন কৃষকের এভাবে পাখির বাসা বাঁচানোর পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। নেটিজেনদের একাংশের কথায়, কৃষকরাই আমাদের দেশের আসল হিরো। শুধু একজন নয়, প্রত্যেক চাষির এই কাজ করা উচিৎ। এই ধরনের কোনও জিনিস দেখলে এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় বা অবহেলায় ধ্বংস করে দেওয়া উচিৎ নয়। এভাবেই প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
advertisement
মাহিন্দ্রার ট্যুইটিকে রি-ট্যুইট করে তাঁদের দাবি, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে এই ধরনের পদক্ষেপে কর্পোরেট হাউজগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।
Times of India-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর তানজাভুরের কুম্ভকোনম এলাকার একটি গ্রামে বসবাস করেন ওই চাষি। নাম জে রঙ্গনাথন (J Ranganathan)। চল্লিশ বছর বয়সী এই মানুষটিই এখন গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আসলে এই ভিডিও ফসল কাটার সময়ের। জমিতে ধান কাটার মেশিন নামিয়েছিলেন তিনি। ধান কেটে এক এক করে ঘরে তুলছিলেন। আর সেই সময়ে পাখির বাসাটি নজরে আসে তাঁর। তড়িঘড়ি ফসল কাটার মেশিনকে থামিয়ে দেন তিনি। আর বাসাটির কাছে গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, ধানের খেতে চুড়ুইয়ের বাসা দেখার পর ধান কাটার মেশিন থামিয়ে দেন। কাছে গিয়ে দেখেন, বাসার মধ্যে চড়ুই পাখির চারটি ডিম রয়েছে। চড়ুই ও তার বাচ্চাগুলিকে বাঁচাতে গিয়ে সেই অংশে আর ফসল কাটেননি তিনি। ওইটুকু জায়গায় ধান রেখে দেন। যাতে বাসাটি অক্ষত থাকে ও চড়ুইর ডিমগুলি সুরক্ষিত থাকে। এখানেই শেষ নয়। ডিমগুলি যাতে নষ্ট না হয়, সেই জন্য ৩-৪ টি ছোট ছোট লাঠি দিয়ে ধানের গাছগুলিকে একত্রে বেঁধে দেন। তাঁর বিশ্বাস, ডিম ফোটানোর জন্য যথাসময়ে বাসায় ফিরবে মা চড়ুই। তাই পাখির বাসা ও ডিমগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা একান্ত জরুরি।
সাধারণ এক চাষির প্রকৃতির প্রতি এই রকম দায়িত্ববোধ দেখে আপ্লুত সবাই। সমাজের নানা স্তরের মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সবার একটাই বক্তব্য- রঙ্গনাথনের এই ছোট্ট পদক্ষেপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, রঙ্গনাথন প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা!
Keywords: Anand Mahindra, Farmer, Field, Bird Nest, Nest, Tamil Nadu, J Ranganathan
Original Story Link: https://www.news18.com/news/buzz/anand-mahindra-lauds-farmer-for-leaving-part-of-field-unharvested-to-save-birds-nest-3469175.html
Written By: Sovan Chanda