সংগঠনের বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং আপত্তিকর কিছু না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে৷
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখার সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার কথা আমরা গত ১০ সেপ্টেম্বর জানতে পারি৷ যার ফলে ভারতে সংগঠনের সব কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত সরকার মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে দোষী প্রতিপন্ন করার যে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এটা তার সর্বশেষ উদাহরণ৷'
advertisement
দিল্লিতে দাঙ্গার জন্য সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের গাছাড়া মনোভাবকেই দায়ী করেছিল করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখা৷ তার একমাসের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার জেরে সংগঠনের এই পরিণতি হল৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখার কর্তা অবিনাশ কুমারের দাবি, যেভাবে গত দু' বছর ধরে সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকার উঠেপড়ে লেগেছিল এবং তার পর তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার ঘটনা একেবারেই কাকতালীয় নয়৷
তাঁর অভিযোগ, সাম্প্রতিক কালে দিল্লি দাঙ্গার সময় এবং জম্মু কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জন্য দিল্লি পুলিশ এবং ভারত সরকারের ভূমিকাকে দায়ী করার জন্যই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ বিদেশি অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অলাভজনক সংস্থা হয়েও এফডিআই-এর মাধ্যমে অর্থ তুলছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
সংগঠনের অবশ্য অভিযোগ, এর আগে ২০১৮ সালেও তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ইডি৷ সেই সময়ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়৷ এর পর ২০১৯ সালে সংগঠনকে নিয়মিত অল্প পরিমাণে অনুদান দেন, এমন তিরিশ জনকে তদন্তের নামে চিঠি পাঠাতে শুরু করে আয়কর দফতর৷ যার ফলে এ দেশে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের কাজও জোর ধাক্কা খায়৷ গত ২৮ অগাস্ট দিল্লি দাঙ্গার ছ' মাস পূর্তি উপলক্ষে দিল্লি পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখা৷ তার একমাসের মধ্যেই সংগঠনের দফতরই বন্ধ করে দিতে হল৷