লাগাতার আন্দোলন সত্ত্বেও নিজ অবস্থানে দৃঢ় কেন্দ্র ৷লখনউয়ের রামকথা পার্কে CAA -এর সমর্থনে আয়োজিত বিশাল জনসভা থেকে CAA বিরোধীদের এক হাত নিলেন অমিত শাহ ৷ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্টবার্তা, কোনও অবস্থাতেই নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা হবে না ৷
তাঁর অভিযোগ, ‘CAA হিংসায় বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে ৷ মোদি CAA আইন এনেছেন ৷ তাঁর বিরোধিতায় মমতা, কেজরিওয়াল, রাহুল, মায়াবতীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ৷ তারা এই ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতেই আটকে রয়েছেন ৷ এই আইনের প্রয়োজনীয়তা বুঝছেন না ৷’
advertisement
এখানেই শেষ নয়, বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহের তোপ, ‘পাকিস্তানে বহু সংঘ্যালঘুকে হত্যা করা হচ্ছে ৷ সংখ্যালঘু হত্যায় বিরোধীরা কোথায় ৷ ভোটব্যাঙ্কের জন্য অন্ধ বিরোধীরা ৷ দলিত বাঙালির নাগরিকত্বে বিরোধিতা করছেন মমতা ৷ বিরোধিতা করাই বিরোধীদের অভ্যাস ৷’
এখানেই শেষ নয়, বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহের তোপ, ‘পাকিস্তানে বহু সংঘ্যালঘুকে হত্যা করা হচ্ছে ৷ সংখ্যালঘু হত্যায় বিরোধীরা কোথায় ৷ ভোটব্যাঙ্কের জন্য অন্ধ বিরোধীরা ৷ দলিত বাঙালির নাগরিকত্বে বিরোধিতা করছেন মমতা ৷ বিরোধিতা করাই বিরোধীদের অভ্যাস ৷ ৩৭০ বাতিল হজম হয়নি ৷ ভারতকে টুকরো করার আওয়াজ উঠছে ৷ অখিলেশ-লালু বিজেপি বিরোধিতা করুন ৷’ শুধু বিরোধীরাই নয়, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহের হুঁশিয়ারি, ‘ভারত বিরোধিতা করবেন না ৷ দেশবিরোধী কথা বললেই জেল ৷’
CAA-র কোনও বিরোধিতাকেই আমল দিচ্ছে না কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথায় আরও একবার স্পষ্ট৷ ফেব্রয়ারিতেই হবে CAA বিধি। দলীয় স্তরে এর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ৫ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনে পক্ষে সমর্থন জোগাড়ে ঘরে ঘরে যাবে বিজেপি। রাজ্যে ৫০ লক্ষ উদ্ধাস্তু ও শরণার্থী পরিবারের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা।
নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কীভাবে নাগরিকত্ব পাবেন উদ্বাস্তু ও শরণার্থীরা? কার কাছে আবেদন করতে হবে? কোনও নথি কী আদৌ লাগবে? এসব খুঁটিনাটি তথ্য নিয়েই তৈরি হচ্ছে নাগরিকত্ব বিধি। ফেব্রয়ারিতেই তা প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি নাগরিকত্বের আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হবে। কেন্দ্র যে কোনও বিরোধিতাকেই আমল দিচ্ছে না, শুক্রবার ফের তা স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ।
এই অবস্থায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। ৫ জানুয়ারি থেকে ঘরে ঘরে প্রচারে যাবে বিজেপি। দেশজুড়ে ১ কোটি পরিবার ও ৩ কোটি মানুষের কাছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্ম শিবির।একুশের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে রাজ্য বিজেপির কাছেও CAA প্রচার গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের হিন্দু উদ্বাস্তু ও শরণার্থী ভোটকে টার্গেট করেই পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
