শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের বেশ কতকগুলি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারমধ্যে রয়েছে, খনিজ, সেল গ্যাস, প্রাকৃতিক গ্যাস, গেইল পাইপলাইন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, সিলিকন ভ্যালি হাব, সিমেন্ট হাব, রেল সরঞ্জাম তৈরি এবং লেদার হাব। তিনি জানান, গত বছরের শিল্প সম্মেলনে ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছ বাংলায়। অমিত মিত্র জানান, একদিকে যেমন স্বল্প মূল্যে জমি দিয়ে সিলিকন ভ্যালিতে বড় শিল্প গড়ার উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য, তেমনই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিপুল পরিমাণে ঋণ দিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। তাঁর দাবি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যাঙ্কগুলি ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। সিলিকন ভ্যালিতে ৪০ একর জমিতে জিও ডাটা সেন্টার তৈরি করছে বলে জানান অমিত মিত্র। তাঁর আশা, দেশের অন্যতম ডাটা সেন্টার হয়ে উঠতে চলেছে সিলিকন ভ্যালি।
advertisement
এ রাজ্যে পর্যায়ক্রমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশ্বাস বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই দিয়েছিলেন গৌতম আদানি। পরে তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণের বরাত পায় আদানি গোষ্ঠী। নবান্ন সূত্রে খবর, এবারের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনকে সামনে রেখে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, চণ্ডীগড়ে রোড শো করা হবে। আমন্ত্রণ পাবে সেখানকার বণিক মহল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই চার রাজ্যে মূলত এরাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হবে৷ পাশাপাশি, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প রাজ্যে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা-ও তুলে ধরা হবে সেখানকার বণিক মহলের সামনে।নবান্ন সূত্রে খবর, সিনেমা নিয়েও পৃথক নীতি তৈরি হবে এই শিল্প সম্মেলনের জন্য। গতবার এই শিল্পে আলাদাভাবে নজর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বিভিন্ন দফতরকে বিষয়ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা এবারের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।
RAJIB CHAKRABORTY