শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু সওয়া আটটা থেকে ফের গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উধমপুরে পাক ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে ভারত। এছাড়াও শ্রীনগর, জম্মুর একাধিক জায়গায় গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাজস্থানের বারমেঢ়, জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাও। পাক ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে গুজরাটের কচ্ছে।
advertisement
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের এহেন হামলায় ক্ষুব্ধ ভারত। শত্রুদের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে ফোনে দোভালের সঙ্গে কথা বলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সাফ জানিয়ে দেন, পহেলগাঁও হামলায় যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে ভারতের। তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা জরুরি ছিল। তবে ভারত মোটেই যুদ্ধ চায় না। বরং আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনাই কাম্য।
দোভালের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী জানান, ভারতের এমন অবস্থান প্রশংসনীয়। পহেলগাঁও হামলার নিন্দাও করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। তাঁর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বহু কষ্টে এশিয়ায় শান্তি আনা গিয়েছে। সেটা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই চিনের প্রতিবেশী। তাই বেজিং আশা করে দু’পক্ষই শান্ত থাকবে, ধৈর্য্য ধরবে। আগামী দিনে অশান্তি না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। চিন চায় ভারত এবং পাকিস্তান দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হোক।’