সংবাদ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ১৫টি বিমানকে ঘুরপথে নামতে বলা হয়েছে অন্যদিকে দু’টি বিমানকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য নাগপুর এবং আহমেদাবাদে নামতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী মুম্বই। সেখানে রাতভর বৃষ্টি চলেছে। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বাণিজ্য নগরীর বহু রাস্তা জলমগ্ন। এক রাতের বৃষ্টিতে দাদর এবং বান্দ্রা স্টেশনের কাছে ডুবেছে রেললাইনও। ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আহত আরও দু’জন। এই পরিস্থিতিতে শনিবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বইয়ে। আবহাওয়া দফতর মুম্বই এবং সংলগ্ন রায়গড় জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে।
advertisement
শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল থেকেই হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টি চলছিল মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভারী বৃষ্টি শুরু হয় রাত ১১টা থেকে। চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুম্বইয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের শহরতলি। কুর্লা, চেম্বুর এবং আন্ধেরির বহু এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। ভিখরোলিতে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ২১ ঘণ্টায় মোট ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সান্তাক্রুজে বৃষ্টি হয়েছে ২৩২ মিলিমিটার। ভিখরোলির বর্ষানগর এলাকায় ধস নামায় ভেঙে পড়ে একটি আবাসনের একাংশ। মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম হন দু’জন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ট্রেনলাইনের পাশাপাশি জল জমেছে মুম্বই বিমানবন্দরেও। তার জেরে আংশিক ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান দেরিতে ছাড়তে পারে বলে আগাম জানানো হয়েছে। এছাড়াও, মুম্বই পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ‘একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শনিবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।’ যে কোনও পরিস্থিতিতে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জমা জল সরানোর কাজ চলছে। পুরসভার তরফেও হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে।