সন্তান হারা ইমরানা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর অসুস্থ দু’বছরের শিশু কন্যা চিকিৎসাধীন ছিলেন মীরাটের জেলা হাসপাতালে ৷ চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে ৷ সন্তানের মৃত্যুর পর গ্রামে ফেরার জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্মী ও চিকিৎসকদের কাছে কাকুতি মিনতি করে ইমরানা ৷ কিন্তু কেউই তাঁর আর্জিতে কান দেননি ৷
advertisement
অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম্বার যোগাড় করে তাকে নিজেই ফোন করে ওই সন্তানহারা মা ৷ কিন্তু চালক ৫০ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রামে যাওয়ার জন্য দেড়হাজার টাকা চায় ৷ ইমরানা অত টাকা দিতে পারবে না জেনে আর কোনওরকম সাহায্যই করেনি চালক ৷ ১০৮ হেল্পলাইনে ফোন করলেও কোনও সাহায্যই পৌঁছায়নি ইমরানার কাছে ৷
মৃত মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে বাবা-মাকে মাঝপথে নামিয়ে দিল অ্যাম্বুলেন্স, পায়ে হেঁটে পাড়ি ৬ কিলোমিটার
আর্থিক অসঙ্গতি, সন্তান হারানোর যন্ত্রনা, তার উপরে এই প্রত্যাখান ৷ আর কোনও উপায় না দেখে মৃত শিশুর নিথর দেহ কোলে নিয়ে হাসপাতালের বাইরেই রাত কাটান ইমরানা ৷ পরে সকালে স্বেচ্ছাসেবকদের চেষ্টায় বেসরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হলে তাতে করে ইমরানা নিজের কন্যার মৃতদেহ নিয়ে নিজের গ্রামে রওনা হন ৷
স্ট্রেচার না পেয়ে বাবার কাঁধেই মৃত অসুস্থ ছেলে
গত কয়েক সপ্তাহে কালা হান্ডির দানামাঝি, কানপুরের সুশীল কুমার, মালকানগিরির খেমেডু দম্পতির ঘটনায় যে অমানবিক চিত্র সামনে এসেছিল তার থেকে ইমরানার ঘটনা আলাদা নয় ৷ জেলা শাসকের কাছে এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷