শুক্রবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সেকারণে যাত্রা স্থগিত করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পুণ্য়ার্থীদের জন্য খাবার, থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রবিবার দুপুরে ফের আকাশ পরিষ্কার হয়। তারপরেই পঞ্চতরণী এবং শেষনাগ ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। এবং যাঁদের অমরনাথ দর্শন করা হয়ে গেছে তাঁরা বালতাল বেস ক্যাম্পে ফিরে গেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো বাসের গায়ে চালকের দরজায় কেন পাইলট লেখা থাকে?
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৫ জুলাই থেকে প্রায় ১৮ হাজার জন পুণ্যার্থী অমরনাথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ৬০০০ পুণ্য়ার্থী আটকে ছিলেন। জম্মু ও রামবন জেলায় প্রায় ৬০০০ জন , সাম্বাতে ১২০০ জন, কাঠুয়ায় ১১০০ জন এবং উধমপুর জেলায় ৬০০ জনকে ‘যাত্রী নিবাসে’ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে যে, এখন কয়েকদিন জম্মু ও কাশ্মীরের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে জম্মু বিভাগের কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বায়ু এবং পশ্চিমী ঝড়ের কারণে ১০ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়া থাকবে।
আরও পড়ুন: বুথের মেঝেতে পড়ে কাটা আঙুল! কার আঙুল? বাংলার ভোট-চিত্রে শুধুই রক্তের দাগ
এ পর্যন্ত দক্ষিণ কাশ্মীর হিমালয়ের ৩৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত গুহা মন্দিরে ৮০০০০-এরও বেশি তীর্থযাত্রী ৬২ দিনের পবিত্র গুহা মন্দির দর্শন করেছেন। যা ১ জুলাই অনন্তনাগ জেলার পাহালগাম ও গান্ডারবাল জেলার বালতাল থেকে শুরু হয়েছিল, ৩১ অগাস্ট শেষ হবে এই যাত্রা।