তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরে সর্বাধিক সংখ্যক এনকাউন্টার (Encounter) হয়েছে। শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই ১৩৮ টি এনকাউন্টার হয়। শোপিয়ান এবং পুলওয়ামার মতো অঞ্চলে ৯৮ টি এনকাউন্টার হয়। এর মধ্যে ৪৯ পুলওয়ামা এবং ৪৯ জন শোপিয়ানে ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় জঙ্গি সংগঠনগুলি স্থানীয় যুবকদের সন্ত্রাসের কাজে নিযুক্ত করে৷ উপার্জনের টোপ দিয়ে জঙ্গী কর্মকাণ্ডে তাদের যুক্ত করা হয়, এমনই জানা গিয়েছে৷ এবার হিজবুল মুজাহিদিনের বেশিরভাগ জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাক-সমর্থিত এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ৭২ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈয়বার ৫৯ জঙ্গিও নিহত হয়েছে।
advertisement
নিরাপত্তা বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ হামলা চালানোর দায়িত্বে রয়েছে লস্কর-ই-তৈয়বা। একই সঙ্গে, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, পুলিশ বা রাজনীতিকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত হিজবুল মুজাহিদিন। যে তথ্যে সামনে আসছে তাতে জানা গিয়েছে যে, জয়েশ-ই-মহম্মদের ৩৭ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে। এ ছাড়াও শেষ হওয়া ৩২জন জঙ্গি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেটও।
উল্লেখ্য, এই বছর, সুরক্ষা বাহিনী কাশ্মীরে একটি বড় অভিযান শুরু করেছে। কয়েক মাস আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের মহানির্দেশক দিলব্যাগ সিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, ক্ষমতায় থাকা জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা বাহিনীর একের পর এক পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে ভাঙ্গন ধরানোও সম্ভব হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
