মহারাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চিন এবং ভিয়েতনামে প্রথম ক্যাট কিউ ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। কিউলেক্স প্রজাতির মশা এই ভাইরাসের আঁতুড়ঘর। তবে মশার পাশাপাশি শুয়োরের মধ্যেও থাকে ক্যাট কিউ ভাইরাস। এই নিয়ে গবেষণা প্রায় বছর তিনেক ধরেই চলছে। ২০১৭-১৮ সাল থেকেই আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি ক্যাট কিউ ভাইরাসের উৎপত্তি, সংক্রমণ ছড়ানো ক্ষমতা ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করছে।
advertisement
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ভারতের ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। আইসিএমআর পুণের বিজ্ঞানীরা মহারাষ্ট্রের ৮৮৩ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু'জনের শরীরে ক্যাট কিউ ভাইরাসের অ্যান্টিবডি মিলেছে। ফলে যে কোনও সময় ভারতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
চিনের মতো ভারতেও রয়েছে কিউলেক্স মশার অনুরূপ প্রজাতি। আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ভাইরাসের প্রতিলিপি গঠনের বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন৷ যথাসম্ভব বেশি নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার কাজ চলছে।
ক্যাট কিউ ভাইরাস নিয়ে চিনে অনেক আগেই গবেষণা শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে আমেরিকা ও চিনের একদল গবেষক ও বিজ্ঞানী পূর্ব সিচুয়ানের বাজহং এবং লংচং কাউন্টির শুয়োরের খোঁয়াড় থেকে মশার নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করেন৷ ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই নমুনা সংগ্রহের কাজ চলে। শুয়োর সিরামও নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেন তাঁরা। কিন্তু ওই গবেষণার ফলাফল এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ক্যাট কিউ ভাইরাসের আলোচনা। তবে ক্যাট কিউ ঠিক কতটা মারাত্মক, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন ভাইরাস কী ভাবে ছড়ায়, কতখানি সংক্রামক- সে সব তথ্যও প্রকাশ্যে আসেনি।