রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, "নিজেদের দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাননি সাংসদরা। আমি বিরোধী দলনেতার আবেদন বিবেচনা করছি না। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না।" এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) থেকে শুরু করেন অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা। শেষে ওয়াক আউট করে তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিকে, সাসপেনশন প্রতিবাদে আজ সকালে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন সাসপেন্ড হওয়া দুই সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। তৃণমূলের অন্যান্যরাও সেই কর্মসূচিতে যোগদেন। তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ যোগ দেওয়ার জন্য অন্যান্য দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। জোড়া ফুল শিবিরের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাদের বিক্ষোভ যোগ দেয় অন্যান্য বিরোধীদলগুলো।
advertisement
আরও পড়ুন: NRC নিয়ে কী অবস্থান কেন্দ্রের? তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিল শাহের মন্ত্রক
গতকাল রাতেই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছিলেন, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আলাদা করে প্রত্যেকে ক্ষমা চাইলে ভেবে দেখা যেতে পারে। যদিও সেই পথে হাঁটেনি বিরোধীরা। সকলের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুর্ন খাড়গে।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি-তে প্রশান্ত কিশোরের গোপন লোক! মারাত্মক অভিযোগ তথাগত রায়ের
শাস্তির কোপে পড়া ১২ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ৬ জন, সিপিএমের এলামারান করিম, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। রাজ্যসভার তরফে এই ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পদকে অসম্মান করা, সংসদীয় আইন অগ্রাহ্য করে সংসদের কাজে বিঘ্ন ঘটানো, দুর্ব্যবহার করা, হিংসাত্মক আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বাদল অধিবেশন চলাকালীন ১১ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রাজীব চক্রবর্তী