ফেব্রুয়ারিতে ভোট। কিন্তু, যাদবকুলে টানাপোড়েন চলছিলই। মুখে সন্ধির কথা বললেও, সোমবারও, সাইকেল প্রতীকের দাবিতে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান মুলায়ম। সঙ্গে ছিলেন দুই বিশ্বস্ত সহচর শিবপাল যাদব ও অমর সিং। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফের নাটকীয় পরিবর্তন। যুদ্ধের জল গড়াল সন্ধির দিকেই। এদিন সকালে, নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই মুলায়মের বাড়িতে যান অখিলেশ। বাবা-ছেলের ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকও হয়। সূত্রের খবর, শর্তসাপেক্ষে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে।
advertisement
অখিলেশ মুলায়মকে শর্ত দেন, ভোটে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের ভার থাকবে তাঁর ওপরেই ৷ অখিলেশ আরও শর্ত দেন, তাঁকেই জাতীয় সভাপতির পদ দিতে হবে
কিন্তু, মুলায়মের শর্ত, জাতীয় সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো যাবে না ৷
একইসঙ্গে তাঁর শর্ত, রামগোপাল যাদবের মতো সাসপেন্ডেড সপা নেতাদেরও এখনই দলে ফেরানো হবে না ৷
অখিলেশই যে বিধানসভা ভোটে সপা-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, বিভেদের মধ্যেও সোমবারই তা ঘোষণা করেন মুলায়ম। এরপর, মঙ্গলবার সাতসকালে, সাতসকালে বাবা-ছেলের একান্ত বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ নির্ভরতা আরও বাড়ল বলেই জল্পনা।