ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিক দুর্ঘটনার পর ভারতে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন, তারপর ফিরে যান ব্রিটেনে। সেখানেই ‘বিবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি একমাত্র বেঁচে গিয়েছি—এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। সত্যিই এক অলৌকিক ঘটনা।”
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ-লালগোলার মধ্যে চালানোর জন্য মেমু রেক পাওয়া যাবে কীভাবে? কালঘাম ছুটছে ডিভিশনের
advertisement
১২ জুন অহমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমানে রমেশের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই অজয়। রমেশ বসেছিলেন ১১এ নম্বর আসনে, কয়েকটি আসন দূরেই ছিলেন অজয়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে রমেশ প্রাণে বেঁচে গেলেও, অজয়কে হারাতে হয় চিরতরে। সেই ক্ষতি তাঁর জীবনে এক গভীর শূন্যতা এনে দিয়েছে। চোখে জল এসে যায় রমেশের, যখন তিনি বলেন, “ভাই ছিল আমার মেরুদণ্ড। গত কয়েক বছর ধরে ও সবসময় পাশে থেকেছে, সব বিষয়ে আমাকে সমর্থন করেছে।”
আরও পড়ুন: ‘দেখুন নেপালে কী ঘটে গেল!’ নীল ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
তিনি আরও বলেন, “এখন আমি পুরোপুরি একা। সারাদিন ঘরে চুপচাপ বসে থাকি, কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না—স্ত্রী, ছেলেও না।” শুধু রমেশ নন, তাঁর পরিবারও এখনও সেই দুর্ঘটনার মানসিক আঘাত সামলে উঠতে পারেনি। রমেশ জানান, “গত চার মাস ধরে মা প্রায় প্রতিদিন দরজার বাইরে বসে থাকেন। কারও সঙ্গে কথা বলেন না।”
চিকিৎসা ও সময় হয়তো ক্ষত মুছতে পারে, কিন্তু বিশ্বাসকুমার রমেশের জীবনে ১২ জুনের সেই কালো দিন হয়ে রইল এক অবিস্মরণীয় দুঃস্বপ্ন।
