দিল্লি-ওয়াশিংটন ডিসি ফ্লাইট স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে ঠিক তখনই, যখন সংস্থা তাদের বোয়িং বিমানের রিফিটিং কাজ শুরু করেছে।
মেয়েরা কখন পায়ের উপর পা তুলে বসেন? এত দিন ভাবতেন ‘ক্রস লেগড’-এর আসল কারণ আলাদা? তা নয়…সঠিক জানুন
জবা ফুল ফুটবে টবেও! মানুন এই ৯টি নিয়ম, প্রতি দিন পুজোর ফুলে উপচে পড়বে গাছ!
advertisement
এয়ার ইন্ডিয়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লি-ওয়াশিংটন ডিসি ফ্লাইট পরিষেবা বন্ধ করতে চলেছে, সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থা।
কেন এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি-ওয়াশিংটন ডিসি ফ্লাইট বন্ধ করছে?
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মূলত বিমানের ঘাটতির কারণে এই ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত মাস থেকে এয়ার ইন্ডিয়া ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের রিফিটিং শুরু করায় নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিমানের সংখ্যা কম থাকবে।”
এই রিফিটিং প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি এবং অন্তত ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে। “গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য শুরু হওয়া এই বৃহৎ রিফিটিং প্রকল্পের ফলে একসঙ্গে একাধিক বিমান দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিষেবার বাইরে থাকবে। এর সঙ্গে পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকাও যুক্ত হয়েছে, যা সংস্থার দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট পরিচালনায় প্রভাব ফেলছে,” জানায় এয়ার ইন্ডিয়া।
সংস্থার মতে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ফ্লাইটের রুট আরও দীর্ঘ হচ্ছে এবং অপারেশনাল জটিলতাও বাড়ছে।
যাত্রীদের জন্য কী ব্যবস্থা?
১ সেপ্টেম্বরের পর যাদের এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়াশিংটন ডিসি ফ্লাইট বুকিং রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প ভ্রমণ ব্যবস্থা দেওয়া হবে—যেমন অন্য ফ্লাইটে রিবুকিং অথবা সম্পূর্ণ ফেরত, যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যাত্রীরা এখনও চারটি মার্কিন শহর হয়ে ওয়াশিংটন ডিসি-তে এক স্টপ ফ্লাইটের সুযোগ পাবেন—নিউ ইয়র্ক (JFK), নিউয়ার্ক (EWR), শিকাগো ও সান ফ্রান্সিসকো। এখানে সংস্থার ইন্টারলাইন পার্টনার আলাস্কা এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এবং ডেল্টা এয়ারলাইনসের মাধ্যমে যাত্রীরা একক যাত্রাপথে ভ্রমণ করতে পারবেন, এবং লাগেজ সরাসরি চূড়ান্ত গন্তব্যে পাঠানো হবে।
এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তারা উত্তর আমেরিকার ছয়টি গন্তব্যে, কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারসহ, ভারতের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালিয়ে যাবে।