কংগ্রেসের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটার রাধিকা খেরা এদিন ট্যুইটারে লেখেন, "সর্দার প্য়াটেলের নাম সরে গেল এক ব্যক্তির নামে স্টেডিয়ামের নামাঙ্কণের স্বার্থে? আত্মপ্রেমী প্রচার-মন্ত্রীর মাস্টরস্ট্রোক এটা।"
তোপ দেগেছে তৃণমূলও।তৃণমূল মুখপাত্র কুনালঘোষ বলেন, "এটা বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। বাম জমানায় একজন বাম বিধায়ক নিজের মূর্তি বসিয়েছিলেন। ওটা সিকিভাগ। আর নরেন্দ্র মোদির ডবল ইঞ্জিন সরকার তথা ডবল চুল্লি শ্মশান পরিচিত স্টেডিয়ামকে এভাবে নামকরণ করছে। পুরনো জিনিসকে ভুলিয়ে বিশ্রী জিনিস চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগ্রাসী আধিপত্য এটা। নরেন্দ্র মোদি আর যাই হন, ক্রিকেটার নন।ঠ
advertisement
অমিত শাহ এদিন মোতেরার নতুন রূপটির উদ্বোধন করে বলেন, এই স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদির ড্রিম প্রজেক্ট। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই এই বিষয় নিয়ে ভেবেছিলেন। মন্ত্রীমণ্ডলে তিনি বলেছিলেন, দুটি বিষয়ে আমাদের এগোতে হবে। একটি খেলাধুলো, অন্যটি হল সেনায় যোগদান।
রাজনৈতিক নেতাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ ভারতবর্ষে নতুন নয়ষ গত বছরই ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম বদলে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম করা হয়। দেশে জওহরলাল নেহেরুর নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম রয়েছে ৯টি। তার মধ্যে আটটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাঘুলো হয়। রাজধানী দিল্লি, গুয়াহাটি, বিজয়ওয়াড়াতে স্টেডিয়াম রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর নামেও। দেরাদুন, হায়দ্রাবাদ, কোচিতে স্টেডিয়াম গড়া হয়েছে রাজীব গান্ধীর নামে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে নামাঙ্কিত নাদাউন ও লখনউ-এর দুটি স্টেডিয়াম। কিন্তু এই স্টেডিয়ামগুলির কোনওটার নামকরণই এই ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় বা শাসনকালে করা হয়নি, বিরোধীর বক্তব্য এটাই।
১৯৮৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রথম তৈরি হয় মোতেরা স্টেডিয়াম। তাঁর আমূল সংস্কার হল গত এক বছরে। বর্তমানে স্টে়ডিয়ামে দর্শকাসন ১ লক্ষ ১০ হাজার।