গতবছরের রীতিমত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সচিন পাইলট। গেহলত গোষ্ঠীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে একটি রিসোর্টে থাকতে শুরু করেছিলেন। রাতারাতি সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় তাঁকে দিল্লিতে ডাকেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় খুব শিগগিরই সচীনের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিবেচনা করা হবে। সচিন ঘনিষ্ঠরা পদ পাবেন। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ক্ষুব্ধ সচিন পাইলট বুধবারই বলেছেন, "ওই ঘটনার পর দশ মাস হয়ে গিয়েছে। এখনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি দল। দুঃখের বিষয় যে সব কর্মীরা সর্বস্ব দিয়ে দলের জন্য কাজ করেছেন তাদের কথাই অশ্রুত থেকে যাচ্ছে।" কংগ্রেসের তরফে এই সময়ে সচিনকে বলা হচ্ছে, আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে। এই টালমাটাল সময়ে আরেকটু আস্থা রাখতে। যোগ্য মর্যাদাই তিনি পাবেন, বলা হচ্ছে দলের তরফে।
advertisement
সচিনের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব মিটেও না মেটার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। সচিন গেহলতেরর যুদ্ধে মধ্যস্থতার কাজ করছিলে আহমেদ প্যাটেল। তাঁর মৃত্যুতে প্রকৃতপক্ষে একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান সরকারে বেশ কয়েকটি শূন্য পদ থাকলেও এখনও জায়গা হয়নি পাইলট অনুগামীদের।
এরই মাঝে কাজের সুযোগ বুঝে নিতে দল বদলালেন জিতিন প্রসাদ। দলবদলের পরই তাঁঁর মুখে সচিনের জন্য বার্তা। সচিন পাইলট না থাকলে প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্থ হবে কংগ্রেস এটা খুব ভালভাবেই জানে বিজেপি, জানে কংগ্রেসও। এই কারণেই কি যতীনের খোঁচা! সচিনকে রাখাই আপাতত কংগ্রেসের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ