সামনেই লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন (Parliament Session), রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন ২০২৪ নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই অধিবেশনের আগেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এই সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারেন। এর কারণ অধীরের কোন ব্যক্তিগত ব্যর্থতা নয় বরং বাংলায় নিরঙ্কুশ জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)AA দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করতেই এমনটা করা হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
advertisement
সূত্রের খবর, অধীর সরলেও লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতার দায়িত্ব নেবেন না রাহুল। ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন তিনি। কিন্তু তাহলে অধীর বদলি কে হবেন? শোনা যাচ্ছে এই জায়গায় দায়িত্ব পেতে পারেন দলেই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা। এমনকী বিগত কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একাধিক বিস্ফোরক চিঠি লিখেছেন দেশের নানা প্রান্তের কংগ্রেস নেতারা। সূত্রের খবর, এই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যেই কাউকে দলনেতার পদে বেছে নেওয়া হতে পারে। অধীর চৌধুরীর বিকল্প কে, এই প্রশ্নও উঠছে জল্পনা চাউর হতে। রাজনৈতিক মহলে খবর শশী থারুর, তরুণ গগৈ- এই দু'জনের মধ্যে একজনকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারে কংগ্রেস।
এদিকে ৪০ বছরে প্রথমবার বাংলার বিধানসভায় নেই বাম-কংগ্রেস। কিন্তু ভোটের আগে কংগ্রেসের একটি লবি থেকে এই বিধানসভায় তৃণমূল-কংগ্রেস জোট এর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেন অধীর। উল্টে ভরসা রাখেন বিমান ব্রিগেডে। অধীর-মমতা বৈরিতা তাঁর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অধীরের এই মনোভাবের কারণেই মুর্শিদাবাদে জমি হারিয়েছে কংগ্রেস, যার ফায়দা গিয়েছে তৃণমূলেরই ঘরে, এমনটাও মত দলের একাংশের। এমতাবস্থায় অনেকেই বলছেন ‘ভুল শুধরে' আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়তেই নতুন কৌশল নিচ্ছে কংগ্রেস। আর তারই বার্তা হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচক অধীরকে সরাতে চাইছে দল।