মেট্রো ডেয়ারির ৫৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রিতে প্রশ্ন তুলে মামলা করেন অধীর। অধীরের মামলায় অভিযোগ ছিল কার্যত জলের দরে শেয়ার বিক্রি করেছে রাজ্য। কোনও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই শেয়ার বিক্রি হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যেও একগুচ্ছ অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনে বহরমপুরের সাংসদ। মামলা নাটকীয় মোড় নেয় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আইনজীবী পি চিদাম্বরমের সওয়াল ঘিরে। মে মাসে রাজ্য সরকারের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করতে এসে বাধার মুখে পড়তে হয় চিদাম্বরমকে। হাইকোর্ট পাড়ায় কালো কাপড় দেখেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, দুঁদে আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন: কালো পাঞ্জাবি-কমলা ধুতি... নাতির পছন্দ করা 'বিশেষ' জুতো পরেই বিধানসভায় চিররঙিন মদন
কংগ্রেসেরই আইনজীবিদের বাধার মুখে পড়ে চিদাম্বরমের গাড়িও। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় সে যাত্রায় হাইকোর্ট ছাড়েন পি চিদাম্বরম। এরপর আর কলকাতা হাইকোর্টে সশরীরে আইনি সওয়াল করতে আসেননি পি চিদাম্বরম। বিক্ষোভকারী আইনজীবিদের যুক্তি ছিল, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর করা মামলায় রাজ্য সরকারকে বাঁচাতে সওয়াল করছেন পি চিদাম্বরম। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, তাই তাদের এই বিক্ষোভ দেখানো হয় চিদাম্বরমকে। মামলায় অধীরের হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
আর এক মামলায় সংযুক্ত আইনজীবী প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'লাভজনক সংস্থা ছিল মেট্রো ডেয়ারি। ২০১২ পরবর্তী সময়ে এই সংস্থাকে বিক্রির সিদ্ধান্তের প্রতি ধাপে অনিয়ম। মেট্রো ডেয়ারির ৪৭ শতাংশ শেয়ার ছিল রাজ্য সরকারের, ১০ শতাংশ শেয়ার জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন সংস্থার আর বাকি ৪৩ শতাংশ কেভেন্টার্স সংস্থার। ন্যাশানাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্টের ১০ শতাংশ শেয়ারের প্রথমে হাত বদল হয়। পরে রাজ্যের ৪৭ শতাংশ শেয়ার কার্যত জলের দরে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। কমবেশি ৪৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই শেয়ার বিক্রি করা হয় কেভেন্টার্সকে। পরে দেখা যায়, কেভেন্টার্স মেট্রো ডেয়ারির মাত্র ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকায়। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে আমরা তাই ইডি বা সিবিআই বা হাইকোর্ট নিযুক্ত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির তদন্ত চেয়েছি।'