হাইকোর্টের যোধপুর বেঞ্চ প্রায় ৯৯০ হেক্টর কৃষিজমির ওপর সোলার এনার্জি প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য জানিয়েছে। বিচারপতি সংগীত লোধ ও বিচারপতি রামেশ্বর ব্যাসের বেঞ্চ কৃষকদের আবেদনের বিষয়ে আদানি রিনুবেল এনার্জি পার্ক রাজস্থান লিমিটেডের অবস্থানও চেয়েছিল এবং প্রকল্পের জমির স্থিতাবস্থা রাখার আদেশ দিয়েছে এবং আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য ২৯ শে সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য বেঞ্চ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল রেখা বোরানার আবেদনের শুনানি নির্ধারণ করেছে ।
advertisement
হাইকোর্টের একক-বিচারকের বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অগ্রণীদের অগ্রাধিকার প্রদান করে কৃষকদের আবেদনের বিষয়ে আদানি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অবস্থান চেয়ে বেঞ্চ বলেছে আদানি গ্রুপকে বরাদ্দকৃত জমির বিষয়ে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে হবে। রাজস্থান সরকার ২০১৮ সালে পোখরান তহসিলের নেদন গ্রামে মোট৬১১৫ বিঘা (৯৮৯.৫০ হেক্টর) জমি এআরইপিআরএলকে ১৩.৪৮কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ১৫০০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ করেছিল।
রাজপুরোহিত জানিয়েছেন রাজস্থান জমি সংস্কার আইন ২০০৭ অনুযায়ী জমিটি কেবল রাজস্থান রিনুবেল এনার্জি কর্পোরেশন বা রাজস্থান সোলার পার্ক উন্নয়ন কর্পোরেশনকে দেওয়া যেতে পারে কিন্তু কখনই কোনও বেসরকারী সংস্থার লোক বা বিনিয়োগকারীকে সরাসরি দেওয়া যাবে না। আমরা আইনের এই পরিবর্তনটিকে অবৈধ বলে আপত্তি জানাই। বরাদ্দের নিয়ম অনুসারে, চাষাবাদযোগ্য সংরক্ষিত জমি এবং অন্য কোনও কারণে বরাদ্দ দেওয়া যায় না।
এই ৬১১৫ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছিল , অনুর্বর জমি বা চাষ অযোগ্য জমি নয়। এবং চাষিরা এই জমিতে চাষ করছিলেন বহু যুগ ধরে । তা সত্ত্বেও, আরআরইসি ২০১৫ সালে রাজস্থান ভূমি রাজস্ব (কৃষির উদ্দেশ্যে জমি বরাদ্দ) আইন ১৯৭০ লঙ্ঘন করে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের জন্য একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে যা আইন বিরুদ্ধ । এই সোলার পার্ক হলে কাছেই রসলা পার্কে অবস্থিত পাখি সংরক্ষণের জায়গা জিআইবি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেক্ষেত্রেও এটা করা উচিত নয়।