ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই দেশের একাধিক রাজ্যে ফের করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় রয়েছে এই তালিকায়। এই অবস্থায় সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে আরটি-পিসিআর, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপরে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ফল 'নেগেটিভ' এলেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে বলা হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে।
advertisement
ক্রমাগত গত পাঁচদিন ধরে প্রতিদিনই করোনার রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশজুড়ে করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে ১৩ হাজার ৫০৬ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় রোগী আক্রান্তের হার হয়ে গিয়েছে দ্বিগুণ। ফেব্রুয়ারি ১৬-তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ছিল দেশজুড়ে ৯১২১ জন। সেটিই এদিন দাঁড়িয়েছে ১৪,১৯৯ জনে। পরিস্থিতি বুঝে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। সেখানে সপ্তাহে অন্তত চার দিন প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও।
স্বাস্থ্য কর্তাদের আশঙ্কা, এক বছরে করোনাভাইরাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলেছে। বিদেশ থেকে নতুন 'স্ট্রেন' আসার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও নতুন 'দেশীয় স্ট্রেন' পাওয়া গিয়েছে। যার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এই নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়লে, ফের সারা দেশে লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই দেরি না-করে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মানুষকে নিজস্ব সাবধানতা অবলম্বনের আর্জি জানানো হয়েছে।