স্ত্রী গন্ধটা আম্লিক বা অ্যাসিডিক বলে অভিযোগ করলেও, কিষাণ থামেনি। তার পর সে তার স্ত্রীর পেটে একটি জ্বলন্ত ধূপকাঠি চেপে ধরে। এর পর তার শরীরে আগুন ধরে যায়। স্ত্রী লক্ষ্মী যখন জ্বলছিল, তখন বাকি ‘ওষুধ’ (অ্যাসিড) কিষাণ ঢেলে দেয় স্ত্রীর শরীরে৷ পৈশাচিক এই অত্যাচারে মৃত্যু হয় লক্ষ্মীর৷
কিষাণের বিরুদ্ধে উদয়পুরের বল্লভনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়৷ তাকে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে হাজির করা হয়। সরকারি আইনজীবী দীনেশ পালিওয়াল বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রী লক্ষ্মীর গায়ের কালো রঙের জন্য তীব্র তিরস্কার করত এবং সেই কারণেই সে স্ত্রীর শরীরে অ্যাসিড ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মহিলার মৃত্যু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শ্বশুরবাড়িতে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিবাহিত মেয়ে! রাগের কোপে প্রেমিক ও মেয়েকে মেরে কুয়োয় ফেললেন বাবা!
কিষাণকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ড ঘোষণা করেছে আদালত৷ রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন যে, আজকাল এই ধরনের নির্যাতন প্রচুর ঘটছে। আর সমাজে চোখে আদালতের প্রতি সম্ভ্রম বজায় রাখার জন্য, দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।