আহমেদাবাদের অরেঞ্জ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি প্রসব-পরবর্তী সেবা দিতে এক দিনের এক নবজাতককে আহমেদাবাদে নিয়ে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি মোডাসার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই গাড়ি থেকে জোড়ে শব্দ হয় এবং মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চালক এবং সামনের সিটে বসা শিশুটির এক আত্মীয় কোনওভাবে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও পিছনের কেবিনে থাকা বাকিদের রক্ষা করা যায়নি।
advertisement
ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত মোদাসা পৌর দমকলকে খবর দেন। দমকলকর্মীরা পৌঁছে প্রচণ্ড আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালান। স্থানীয় পুলিশ আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে, যেখানে পেট্রোল পাম্পের কাছে অ্যাম্বুলেন্সটিকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায়।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নার্স ভাবিকাবেন রমনভাই মানাত (২২) ও ডাক্তার রাজ শান্তিলাল রেন্টিয়া (৩৫)। দু’জনই হিম্মতনগরের চিথোরা গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। নবজাতক শিশুটিরও আগুনে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর বাবা গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সে শর্ট সার্কিট বা কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে এই আগুনের সূত্রপাত। তবে সঠিক কারণ জানা যাবে ফরেনসিক রিপোর্ট ও বিস্তারিত তদন্তের পর।
মোডাসার শান্ত এলাকায় ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গোটা অঞ্চল জুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। জীবন রক্ষাকারী অ্যাম্বুলেন্সেই যখন প্রাণহানি ঘটে, তখন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। ঘটনায় শোকাহত পরিবার ও হাসপাতালের কর্মীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
