গতকাল থেকেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক উত্তাপ (Tripura Violence) তুঙ্গে পৌঁছেছে৷ ত্রিপুরায় গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh Arrest)৷ বিজেপি-র বিরুদ্ধে বার বার আক্রমণের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ এমন কি, থানাতেও তৃণমূল নেতাদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতিও দেয়নি প্রশাসন৷
আরও পড়ুন: 'ত্রিপুরায় আর হিংসা হবে না', তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস অমিত শাহের
advertisement
এ দিন ত্রিপুরায় গিয়ে বিপ্লব দেব সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক৷ তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানেনি ত্রিপুরা সরকার৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থী, নেতা, কর্মীরা৷ আদালত অবমাননার অভিযোগে তৃণমূল ফের শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷
অভিষেক বলেন, 'যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রাজ্য চলছে। তাতে দিনের আলোয় মানুষের বেরনো মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এমন নৈরাজ্য, বাতাবরণ করা হয়েছে যা দেখা যায়নি। পুলিশের সামনে থানায় আক্রমণ হচ্ছে। আর পুলিশ নীরব দর্শক। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। বিপ্লব দেবের দুয়ারে গুন্ডার মস্তানরা আমাদের কর্মীদের নির্মম ভাবে পিটিয়েছে, হাসপাতালেও মেরেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও এই রাজনৈতিক দল হিংসা বাড়াচ্ছে। আসলে পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। আজ সুপ্রিম কোর্টে গেছি। আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ব্যাটেলগ্রাউন্ড ত্রিপুরা, এক পুরভোট নজর কেড়েছে গোটা দেশের! কিন্তু কেন?
তাঁর সভা বাতিলের অনুমতি না দেওয়া নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর প্রশ্ন, 'পুলিশ চিঠি দিয়ে বলছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ তার জন্য কে দায়ী?' এর পরই বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, 'আপনাকে হারাতে এসেছি। হয় মরব, নয় বাঁচবো। রাজনৈতিক লড়াই জিতে, রাজ্য ছাড়ব। হাতজোড় করে আগরতলাবাসীকে বলব মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। এই কদিনে যা ঘটেছে তা সব সুপ্রিম কোর্টকে জমা দিয়েছি৷ আশা করি আমাদের পক্ষে রায় দেবে। আপনার জেদের ১০ গুণ জেদ আপনাদের।'
তৃণমূলের উপরে হামলা এবং সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে সিপিএমের তরফে বিবৃতি জারি করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরেও সিপিএম- কংগ্রেসের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, 'আরও খুশি হতাম যদি রাস্তায় নেমে লড়াইটা করত৷ এতদিন চেষ্টা করেছেন, পারেননি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করুন৷ সবাই সব করতে পারলে তৃণমূলকে অন্য রাজ্যে যেতে হতো না৷'
অভিষেক দাবি করেছেন, সুষ্ঠু ভাবে ভোট হলে আগরতলা পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হবে তৃণমূলই৷ একই সঙ্গে আগরতলাবাসীর উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, 'বিজেপি জিন্দাবাদ বলতে বলতে যান। ভিতরে গিয়ে জোড়াফুলে ভোট দিন। আবার বিজেপি জিন্দাবাদ বলতে বলতে বেরিয়ে আসুন।' তবে গত দু' দিন ধরে আগরতলার যে ভাবে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার পরে সুষ্ঠু ভাবে ভোট সম্ভব কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷